তাজরীন ট্রাজেডির ১০ বছর: নিহতদের স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

তাজরীন ট্রাজেডির ১০ বছর: নিহতদের স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে তাজরীন গার্মেন্টসের সামনে বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

মৃতদের স্মরণ করো, জীবিতদের জন্য লড়াই করো; দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আইন বদল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন চাই- এসব দাবিতে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিতপুর এলাকার তাজরীন ফ্যাশনের সামনে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়েছে।

আজ বুধবার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর হলো। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে তাজরীন গার্মেন্টসের সামনে বেলা ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপ্রধান শ্রমিকনেতা তাসলিমা আখতার,  নিহত শাহ আলমের মা সাহারা খাতুন, নিহত শ্রমিক মাহফুজা আক্তারের স্বামী জব্বার,  নিহত লিপির মা নসীমন, নিহত আইনালের মা জবেদা, আহত শ্রমিক নাসিমা আক্তার, আশুলিয়া শাখার সভা প্রধান জিয়াদুল ইসলাম ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল হোসেন।

প্রদর্শনীর শুরুতে সংগঠনের সভাপ্রধান শ্রমিকনেতা তাসলিমা আখতার বলেন, 'আজ থেকে ১০ বছর আগের ২৪ নভেম্বর দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে এবং বাংলাদেশে একটি স্মরণীয় দিন। ১০ বছর পার হয়েছে মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং স্বজনপ্রীতির দোষে আজো শাস্তি হয়নি তাজরীনের দোষী মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ আর সব দোষীদের। উল্লেখযোগ্য কোনো বদল হয়নি ক্ষতিপূরণ আইন। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের ৪০ লাখ শ্রমিকের প্রতিনিধি তাজরীনের শ্রমিকরাও। বাংলাদেশের নাম আর সব শ্রমিকের মতো তাজরীন শ্রমিকরাও সারা দুনিয়ায় পরিচিত করেছিল। অথচ মালিক, সরকার আর বায়ারের অবহেলা এবং অমনোযোগে প্রাণ হারায় সেই শ্রমিকরা। বিচারহীনতার ১০ বছর বলে দেয় শ্রমিকের জীবন ও স্বপ্নের কোনো মূল্য নেই সরকারের কাছে। রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাতের শ্রমিকদের জীবন ও স্বপ্ন, মালিক-সরকার এবং বায়ারদের কাছে কত সস্তা তাজরীনের আগুনে মৃত শ্রমিকরা যেন তার স্বাক্ষ্য দেয়।'

তাসলিমা আখতার বলেন, 'মূলধারার ইতিহাসে প্রায়ই আমরা শ্রমিক ও শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসকে ঠাঁই পেতে দেখি না। তাজরীনের আগুনে পুড়ে শ্রমিকের মৃত্যুর ১০ বছরে সেইসব দুঃসহ স্মৃতিকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। তাই  আমাদের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন মূলত এটা একটি দাবি আদায়ের প্রতিবাদ।'

বক্তারা এসময় অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিপূরণ আইনের বদল ও ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পূর্নবাসন নিশ্চিতের দাবি জানায়।

এর আগে ঢাকায় পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। আজ প্রদর্শনীর ৪র্থ ও শেষ দিন। আগামীকাল তাজরীনের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সংগঠনটি।

Comments

The Daily Star  | English

'Bangladesh applauds 20% US tariff as ‘good news’ for apparel industry

Bangladesh has welcomed the outcome of trade negotiations with Washington, securing a 20 percent tariff rate on its exports to the US under a sweeping new executive order issued by President Donald Trump.

1h ago