বাধ্যতামূলক বিকল্প সামাজিক সেবার কাজ শুরু করলেন বিটিএসের সুগা
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য সুগা বাধ্যতামূলক বিকল্প সেবা শুরু করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির বেশিরভাগ সবল নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে সুগাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার সুগা'র এজেন্সির বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
সাত সদস্যের ব্যান্ড বিটিএস দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঙ্গীতানুষ্ঠান অংশ নিয়ে এবং সঙ্গীতের চার্টগুলোতে শীর্ষস্থান অধিকার করে ব্যান্ডের সদস্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলারের অবদান রেখেছেন।
তুমুল জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের ভক্তরা নিজেদেরকে 'বিটিএস আর্মি' বলে অভিহিত করে। বাংলাদেশেও রয়েছে বিটিএসের অসংখ্য ভক্ত।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী, সকল সবল পুরুষকে অন্তত ১৮ মাস সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হয়। বিটিএসের আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও ব্যস্ততার বিবেচনায় তাদেরকে এই বাধ্যবাধকতা থেকে রেহাই দেওয়া নিয়ে এক বছরের বিতর্ক চলে।
তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলটির সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সদস্য জিন গত ডিসেম্বরে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। এপ্রিলে জে-হোপ তার প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
বিটিএসের এজেন্সি হাইবির এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, সুগা 'আজ শুক্রবার থেকে তার বিকল্প সেবা শুরু করতে যাচ্ছেন।'
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, সুগা 'নিয়মিত সামরিক দায়িত্ব পালনের জন্য অনুপযুক্ত' হওয়ায় তিনি সামাজিক সেবা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।
আইনে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগেন, তাহলে তাকে সামরিক সেবা থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে তাকে বিকল্প সেবায় নিযুক্ত করা হবে, যেমন সরকারি কার্যালয়ের কোনো কাজে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইয়োনহাপ আরও জানায়, সুগাকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হয়, ২০২০ সালে কাঁধে সার্জারির সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে।
শুক্রবার সুগা তার ভক্তদের বলেন, 'আপনাদের কারণে আমি এতদূর আসতে পেরেছি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি আরও বলেন, আমার সেবা কার্যক্রম শুরু করার 'সময় এসেছে'।
'আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সেবাদান শেষে ফিরে আসবো—২০২৫ সালে আবার দেখা হবে', যোগ করেন সুগা।
সাত সদস্যের প্রত্যেকেই আগামী বছরগুলোতে বাধ্যতামূলক সেবা দেবেন। যার ফলে ব্যান্ডের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। পরবর্তীতে বিটিএস আবারো ফিরে আসবে কী না, বা আসলেও আগের মতো জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে কী না, তা নিয়ে রয়েছে ভক্তদের উদ্বেগ-আশঙ্কা।
তবে বিটিএসের এজেন্সি হাইবি সম্প্রতি জানায়, দলের সাত সদস্যই তাদের চুক্তি নবায়ন করেছেন। তবে কতদিন পর্যন্ত, তা জানানো হয়নি।
Comments