পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, নিহত অন্তত ২৩

পাকিস্তানের ম্যাপে ডেরা ইসমাইল খান জেলা। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানের ম্যাপে ডেরা ইসমাইল খান জেলা। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের এক থানায় একটি বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাক এসে ধাক্কা লাগালে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ২৩ জন নিহত হন। এই হামলার দায় নিয়েছে তালেবান সংশ্লিষ্ট একটি সশস্ত্র সংগঠন।

দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবারের এ ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিবেদনে প্রথমে ২৪ জন নিহতের কথা উল্লেখ করলেও, পরে ২৩ জন নিহতের কথা জানিয়েছে রয়টার্স। 

এই বোমা ও বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান জেলায়।

দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এই থানাটি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের অস্থায়ী বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করছিল।

তারা জানান, একাধিক জঙ্গি সদস্য প্রথমে থানাকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে রাখা প্রাচীরে ট্রাক দিয়ে ধাক্কা দেয়।  তারপর অন্যান্যরা সেখানে বন্দুক হামলা চালায়। কর্মকর্তারা আশংকা করছেন, থানার ভেতর সংরক্ষিত সামরিক বাহিনীর গোলাবারুদে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।

নাম না প্রকাশের শর্তে এএফপিকে এক স্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, 'অনেকেই ঘুমে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের পরনে সামরিক পোশাক ছিল না। আমরা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি তারা সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন কী না।'

নিহতের সংখ্যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা এখনো সাড়া দেয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এই হামলার নিন্দা জানান এবং নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানা গেছে। 

রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা আইজাজ মেহমুদ জানান, একাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনের পরিস্থিতি আশংকাজনক।

তিনি আরও জানান, 'আমরা এখনো গুলির শব্দ পাচ্ছি (থানার ভেতর থেকে)'।

তালেবান সংশ্লিষ্ট পাকিস্তানী জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান (টিজেপি) এক বিবৃতির মাধ্যমে এই হামলার দায় নিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটি জানায়, এই হামলার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

তবে পাকিস্তানে তালেবানের মূল শাখা, তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) সঙ্গে এই হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কী না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

টিটিপি বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান সরকার ও এর নানা সংস্থার বিরুদ্ধে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংগঠনের উৎস সরকার উৎখাত করে ইসলাম-ভিত্তিক কট্টর শাসন ব্যবস্থা চালু করা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Penalty less than illegal gains fuels stock manipulation

While fines are intended to deter future offences, questions remain over their effectiveness if the amount is lower than the illegal gain.

12h ago