আফগানিস্তানের হেরাতে আবারও ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প

হেরাতে শনিবারের ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়। ফাইল ছবি: এএফপি
হেরাতে শনিবারের ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়। ফাইল ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানের হেরাতে আবারও আঘাত হেনেছে ছয় দশমিক তিন মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প।মাত্র কয়েকদিন আগেই একই অঞ্চলে দুইটি বড় আকারের ভূমিকম্পে এক হাজারেরও মানুষ প্রাণহানি হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টা বেজে ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে) এই ভূমিকম্প হেরাত শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার উত্তরে আঘাত হানে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এখনো এই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। শনিবারের ভূমিকম্পে বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার পর থেকে অনেক বাসিন্দা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।

ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এ অঞ্চলে কম্বল, খাবার ও অন্যান্য উপকরণের স্বল্পতা রয়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, তিনি সকালে ভূমিকম্প টের পেয়ে চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। হেরাতে এখনো কিছু বাড়িঘর অক্ষত আছে, উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমি গভীর ঘুমে ছিলাম, কারণ আগের কয়েক রাত ঘুমাতে পারিনি।'

তিনি জানান, 'আমি মৃত্যুভয়ে বের হয়ে আসি।' তিনি খালি পায়ে দৌড়ে শহরতলীতে চলে আসেন। সেখানে অনেক মানুষ তাঁবুর নিচে ঘুমিয়ে ছিলেন।

হেরাতে শনিবারের ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংসের পর অনেকে তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছেন। ফাইল ছবি: এএফপি
হেরাতে শনিবারের ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংসের পর অনেকে তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছেন। ফাইল ছবি: এএফপি

এর আগে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে ছয় দশমিক তিন মাত্রার অপর একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

দেশটির দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনন সায়েক রোববার বলেন, 'ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন নয় হাজার ২৪০ জন এবং এক হাজার ৩২০টির মতো বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।'

শনিবার ছয় দশমিক তিন মাত্রার মূল ভূমিকম্পের পর পশ্চিম আফগানিস্তানে আরও আটবার ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়। প্রাদেশিক রাজধানী হেরাতের আশেপাশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই কম্পন অনুভব করেন বাসিন্দারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, হেরাত প্রদেশের ১২টি গ্রামে ৬০০ বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস অথবা আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এতে প্রায় ৪ হাজার ২০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, উদ্ধার কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর পর হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচিত। দেশটির বিভিন্ন অংশে নিয়মিত ভূমিকম্পের ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago