পাকিস্তানি মুদ্রার রেকর্ড দরপতন, ১ ডলার এখন ২৮৭ রুপি

বৈদেশিক রিজার্ভের সংকটের মুখে সম্প্রতি পকিস্তানের মুদ্রা রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ছবি: ডন

চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় দেশটির মুদ্রা রুপির বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার লেনদেন বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির রেকর্ড দরপতন হয়ে ২৮৭.২৯ রুপিতে পৌঁছেছে, যা একটি নতুন রেকর্ড। 

গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্চেও সর্বনিম্ন দরের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল দেশটিতে। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২ মার্চ ১ ডলারের বিপরীতে রুপির দর ছিল ২৮৫.০৯।

বিশ্লেষকরা এই রেকর্ড পতনকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের অচলাবস্থাকে দায়ী করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা আরও জানান, আমদানিকারকরা অর্থনীতির দুরবস্থায় আতংকিত হয়ে মার্কিন ডলার কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে, আন্তঃব্যাংক বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ কমেছে।

পাকিস্তান ইতোমধ্যে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার শর্ত মানতে কর ও জ্বালানির মূল্য বাড়িয়েছে, কিন্তু এখনও তারা ঋণের কিস্তি পায়নি।

২০১৯ সালে আইএমএফ বেলআউট প্যাকেজের আওতায় পাকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়। পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ তহবিলে আরও ১ বিলিয়ন ডলার যোগ করা হয়। তবে পাকিস্তান আইএমএফের শর্ত মেনে আর্থিক সমন্বয় ব্যর্থ হয়েছে—এ কারণ দেখিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এই ঋণ স্থগিত করা হয়।

পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা আইএমএফ তাদের বেলআউট প্যাকেজ আবারও চালু করার আগে পাকিস্তানকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে নতুন ঋণ নেওয়ার চেষ্টা চালানোর অনুরোধ জানায়।

পাকিস্তানে আইএমএফের স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট ঋণ পেতে দেশটিকে আরও কিছু শর্ত মানতে হবে।

এ সমস্যার পাশাপাশি, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কমে গেছে।

২৪ মার্চ পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ মাত্র ৪.২৪ বিলিয়ন ডলার।

 

Comments

The Daily Star  | English
price hike of essential commodities in Bangladesh

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

15h ago