পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯
পাকিস্তানে পেশোয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকায় একটি মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫৭ জন।
লেডি রিডিং হাসপাতালের (এলআরএইচ) মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম হতাহতের সংখ্যা পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে নিশ্চিত করেছেন।
পেশোয়ারের কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন চাপা পড়ায় উদ্ধার অভিযান চলছে। শহরের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে বলে ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) মুহাম্মদ ইজাজ খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিস্ফোরণের পর মসজিদের ছাদ ধসে পড়ে। বেশ কয়েকজন সেনা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন। ২৫০ থেকে ৩০০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মসজিদের মূল হলটি ধসে পড়েছে, তবে ভবনের বাকি অংশ এখনো অক্ষত আছে।
বিস্ফোরণের ধরন নিয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা ডনকে বলেন, বিস্ফোরকের গন্ধ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান খানের মতো খাইবার পাখতুমের (কেপি) গভর্নর হাজি গুলাম আলি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং আহতদের রক্ত দিতে পেশোয়ারের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ডন বলছে, নভেম্বরে টিটিপির সঙ্গে সরকারের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীটি তাদের হামলা জোরদার করেছে। বিশেষ করে কেপি এবং আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাচ্ছে। বেলুচিস্তানের বিদ্রোহীরাও তাদের সহিংস কার্যকলাপ বাড়িয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি পেশোয়ারের বাদাবের এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের একটি গাড়ি অল্পের জন্য রক্ষা পায়। এর একদিন আগে চরসাদ্দার ধেরি জারদাদ এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের হামলায় ১ পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং আরও ২ জন আহত হন। গত ১৪ জানুয়ারি রাতে সারবন্দ পুলিশ স্টেশনে জঙ্গিরা হামলা চালালে ১ ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট ও ২ কনস্টেবল নিহত হন।
Comments