সাবেক গেরিলা নেতা প্রচণ্ড নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী

নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা পুষ্পকমল দাহাল, যিনি প্রচণ্ড নামে বেশি পরিচিত। গত মাসে নেপালের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে জোট করে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পুষ্পকমল।
পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড নামে বেশি পরিচিত। রয়টার্স ফাইল ফটো

নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সাবেক মাওবাদী গেরিলা নেতা পুষ্পকমল দাহাল, যিনি প্রচণ্ড নামে বেশি পরিচিত। গত মাসে নেপালের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে জোট করে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পুষ্পকমল।

আজ রোববার তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

নেপালে হিন্দু রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১ দশক গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড। নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) বর্তমান এই চেয়ারম্যান এর আগে ২০০৮ সালে ও ২০১৬ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে প্রতিবারই এক বছরের কম সময় তিনি ওই পদে ছিলেন।

দলীয় সূত্র জানায়, এবার বিরোধী দল কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদীর (ইউএমএল) সমর্থনে পাঁচ বছরের মেয়াদের সরকারের প্রথম আড়াই বছর তিনি সরকারপ্রধান থাকবেন।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির এক সহযোগী টিকা ধাকাল রয়টার্সকে বলেন, 'তাকে (পুষ্পকমল) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং সংসদের একটি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তাকে সমর্থন দিয়েছেন।'

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেপালি কংগ্রেস পার্টির নেতা শের বাহাদুর দেউবার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন প্রচণ্ড। ২০২৫ সালে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তখন ইউএমএল পার্টির কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

নতুন জোটের বৈঠকের পর কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক দেব গুরুং রয়টার্সকে বলেন, 'বোঝাপড়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য পদ ও মন্ত্রণালয় বণ্টনের কাজ এখনো বাকি।'

শের বাহাদুর দেউবা এবং প্রচণ্ডের বেশ কয়েক বছরের পুরনো জোট অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উভয়েই নভেম্বরের নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।

কিন্তু ৬৮ বছর বয়সী প্রচণ্ড কংগ্রেস পার্টির জোট থেকে হঠাৎ বের হয়ে গিয়ে নতুন জোট গঠন করেন। এর কারণ দেউবা প্রধানমন্ত্রী পদে প্রচণ্ডকে সমর্থন দিতে রাজি ছিলেন না।

প্রচণ্ডের মাওবাদী দল ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে ৩২টি আসনে জয়লাভ করে। ইউএমএল পায় ৭৮টি আসন। ছোট ছোট আরও কিছু দলকে সঙ্গে রেখে ১৩৮ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠন করছে এই জোট।

আর নেপালি কংগ্রেস পার্টি ৮৯ আসন নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের প্রধান বিরোধী দল।

২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্র বিলোপের পর ২০০৮ সাল থেকে ১০ বার সরকারের বদল হয়েছে নেপালে। 

Comments