সিউলের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উড্ডয়ন নিষিদ্ধ অংশে উ.কোরিয়ার ড্রোন

২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার এই ড্রোনটি আটক করে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার এই ড্রোনটি আটক করে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কার্যালয়ের চারপাশের ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের উড্ডয়ন নিষিদ্ধ 'নো ফ্লাই' অংশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির এক সামরিক কর্মকর্তা।

আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ড সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, গত মাসে অল্প সময়ের জন্য ড্রোনটি নো ফ্লাই জোনে ঢুকে পড়েছিল।

এর আগে প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ে উড্ডয়ন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার নজির নেই।

গত ২৬ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়া এই ড্রোন সহ মোট ৫টি ড্রোন পাঠায়, যেগুলো ২ দেশের মাঝে থাকা সামরিক বিভাজন রেখা পেরিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে দেশটির আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম ইওনহ্যাপকে নাম না প্রকাশের শর্তে উল্লেখিত সামরিক কর্মকর্তা বলেন, 'এটি (ড্রোন) অল্প সময়ের জন্য নো ফ্লাই জোনের উত্তর প্রান্তে প্রবেশ করে। তবে এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা স্থাপনার কাছে পৌঁছাতে পারেনি।'

তিনি এই সুরক্ষিত অঞ্চলকে 'পি-৭৩' নামে অভিহিত করেন।

বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি জং-সাপ ড্রোন-বিরোধী উদ্যোগের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউনের সঙ্গে আলোচনার সময় নো ফ্লাই জোনে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের আংশিক অনুপ্রবেশ সম্পর্কে জানান। এসব উদ্যোগের মধ্যে আছে রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে এরকম ড্রোন চিহ্নিত করা এবং ধ্বংস করার উপযোগী নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু।

গণমাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের নো ফ্লাই জোনে ঢুকে পড়ার বিষয়টি প্রকাশ হলেও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ তা নাকচ করে। এই সংস্থার মুখপাত্র কর্নেল লি সুং-জুন এসব প্রতিবেদনকে 'দুর্ভাগ্যজনক, অসত্য ও ভিত্তিহীন' বলে অভিহিত করেন। 

উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ড্রোন অভিযানে দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন চিহ্নিত, ড্রোনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও ধ্বংস করার ক্ষেত্রে অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলো অপ্রত্যাশিত ভাবে এলোমেলো গতিপথে উড়েছে। ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুর কাছে আসার আগে একাধিকবার গতিবেগ ও উচ্চতা পরিবর্তন করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
 Al Bakhera killings Al Bakhera killings

Killings in Chandpur: Water transport workers go on strike

Water transport workers has started an indefinite strike from midnight

3h ago