ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: মৃত্যু বেড়ে ২৬৮, নিখোঁজ অন্তত ১৫০

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা অঙ্গরাজ্যে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও অন্তত ১৫০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
সিয়ানজুরে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স
সিয়ানজুরে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা অঙ্গরাজ্যে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও অন্তত ১৫০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পশ্চিম জাভায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আটকে পড়া গ্রামবাসীদের জন্য হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ উপকরণ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সিয়ানজুর শহরে আঘাত হানা ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর অনেকেই এখনও তাদের নিখোঁজ আত্মীয়দের সংবাদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

আজকের উদ্ধার কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকবে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত অঞ্চলের অন্যতম কুগেনাং জেলা।

কর্তৃপক্ষ ধ্বসে পড়া দালানের ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে এলাকাবাসীরা নিজেদের হাত, বেলচা, নিড়ানি, লাঠি ও অন্যান্য প্রাথমিক পর্যায়ের উপকরণ ব্যবহার করে মাটি খোঁড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

উদ্ধার কাজে সহায়তা করার জন্য ১ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধারকাজের নেতৃত্বে থাকা সংস্থার প্রধান হেনরি আলফিয়েন্দি জানান, যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন, তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য তারা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সিয়ানজুরে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স
সিয়ানজুরে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স

তবে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন, ভূমিকম্পের ৩ দিন পর জীবিত অবস্থায় খুব বেশি মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।

হেনরি আরও জানান, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এরকম ২টি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য হেলিকপ্টার থেকে সুপেয় পানি ও খাবার নিক্ষেপ করা হবে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর অন্যতম।

সোমবারের ভূমিকম্পের প্রাথমিক ধাক্কার পর আরও ১৬০ বার কম্পন অনুভূত হয়, যে কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি একটি জনবহুল অঞ্চলে আঘাত হানে, যার গভীরতা মাত্র ১০ কিলোমিটার।

কর্মকর্তাদের মতে, দুর্বল দালান নির্মাণ নীতিমালার কারণে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন।

প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো পুনর্নির্মাণ উদ্যোগে ভূমিকম্প-নিরোধক বাসস্থান নির্মাণের বিষয়টির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

8h ago