জনসমক্ষে কিম জং উনের মেয়ে

একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধান করার সময় কিমের সঙ্গে তার মেয়ে ছিল। ছবি: কেসিএনএ

জনসমক্ষে আনা হলো উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মেয়েকে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ'র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটির শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, সাদা জ্যাকেট পরে বাবা কিম জং উনের হাত ধরে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে মেয়ে। তবে মেয়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের তত্ত্বাবধান করার সময় কিমের সঙ্গে তার মেয়ে ছিল।

সংস্থাটি দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়া শুক্রবার পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক এয়ারফিল্ড থেকে একটি 'নতুন ধরনের' আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যা ৯৯৯ দশমিক ২ কিলোমিটার (৬২১ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করেছে।

কিম জং উনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। ২০১৩ সালে সাবেক বাস্কেটবল তারকা ডেনিস রডম্যান ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানান, কিমের একটি সন্তান আছে। তার নাম 'জু অ্যায়'। তিনি কিমকে 'একজন ভালো বাবা' হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। কিমের স্ত্রী রি সোল জুর সঙ্গে কথাও বলেছেন।

তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, 'আমি তাদের বাচ্চা জু অ্যায়কে আদর করেছিলাম। কিমের স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি।'

২০১২ সালে ধারণা করা হয়েছিল, রি অন্তঃসত্ত্বা হতে পারে। তখন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ছবিতে দেখা যায়, রি একটি লম্বা কোট পরেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল সেটি বেবি বাম্প লুকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছিল। তবে উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব ছিল।

২০১২ সালের জুলাই পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম কিম ও রির বিয়ের কথা ঘোষণা করেনি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের ধারণা, ৩ বছর আগেই তাদের বিয়ে হয়েছে।

কিন্তু ২০১৮ সালে এটি পরিবর্তিত হয়। তখন রিকে উত্তর কোরিয়ার 'সম্মানিত ফার্স্ট লেডি' হিসেবে নতুন উপাধি দেওয়া হয়। যা পূর্বে ব্যবহৃত 'কমরেড' থেকে এক ধাপ উপরে।

কিম ও রির ৩ সন্তান আছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এনআইএস)।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago