আবারও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

গত জানুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
গত জানুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া আজ ভোরে দেশটির দক্ষিণ প্রান্তের উপকূলীয় শহর ওনচন থেকে ২টি ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্তৃপক্ষ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উড্ডয়ন পথ ও পাল্লার মতো খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ চালাচ্ছে। 

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিগগির সিওল ও ওয়াশিংটন আবারও 'আলচি ফ্রিডম শিল্ড' নামের যৌথ সামরিক মহড়া চালু করবে। ২২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। এর প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবার থেকে ৪ দিনের প্রস্তুতিমূলক মহড়া শুরু হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস মহামারি ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশমিত হওয়ায় এই ২ মিত্র দেশ সমন্বিত মহড়ার আকার ও সংখ্যা কমিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দাবি, দেশটিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি হিসেবেই এ মহড়াগুলো চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।

মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান গত সপ্তাহে হাওয়ার উপকূলে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়ায় অংশ নেয়। ২০১৭ সালের পর এ ধরনের মহড়া এটাই প্রথম।

গত ২ মাসের মধ্যে পিয়ংইয়ং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। তবে পশ্চিমের গণমাধ্যমের দেওয়া সংবাদ মতে, ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

গত জানুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
গত জানুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বেশ কয়েক মাস করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পর গত সপ্তাহে দেশটি এই মহামারির বিরুদ্ধে 'বিজয়' ঘোষণা করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল বুধবার আবারও জানান, তিনি উত্তর কোরিয়াকে পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক। তবে এর পূর্বশর্ত হল, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প বাতিল ও সব পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে।

কার্যালয়ে ১০০ দিন অতিবাহিত করা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এক প্রশ্নের উত্তরে ওপরের মন্তব্যটি করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

3h ago