কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় নিহত ২

বুধবার রাতে ভারতের পাঞ্জাব অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা দুই শিখ কর্মীর ওপর অজ্ঞাত বন্দুকধারী গুলি চালালে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান

ভারতের কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে বন্দুক হামলায় ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, এই বিতর্কিত ভূখণ্ডে এ বছর এটাই বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলার ঘটনা।

বুধবার রাতে ভারতের পাঞ্জাব অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা দুই শিখ কর্মীর ওপর অজ্ঞাত বন্দুকধারী গুলি চালালে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দ্বিতীয় ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে মারা গেছেন।

স্টেটসম্যান জানিয়েছে, গতকাল নিহত ব্যক্তি অমৃতসরের বাসিন্দা অমৃতপাল সিং।

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে অস্থিরতা চলছে। উভয় দেশই এই অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানালেও তারা পৃথক ভাবে কাশ্মীরের দুই অংশ শাসন করছে।

১৯৮৯ সাল থেকে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো কার্যকর রয়েছে। এসব গোষ্ঠী স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের অংশ হওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছে। এই সংঘাতে দশ হাজারের বেশি বেসামরিক, সামরিক ও জঙ্গি নিহত হয়েছেন।

কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে তুষারপাত। ছবি: এএফপি (ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)
কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে তুষারপাত। ছবি: এএফপি (ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)

স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ২০১৯ থেকে কাশ্মীরে আগত ভারতীয়দের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। সে সময় নয়াদিল্লি মুসলিম-অধ্যুষিত এই অঞ্চলের সাংবিধানিক অর্ধ-সার্বভৌমত্ব বাতিল করে।

তবে বুধবারের হামলার আগের ছয় মাসে এ অঞ্চলে এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা শোনা যায়নি। 

২০১৯ সালের পরিবর্তনের পর ভারতের যেকোনো নাগরিক এখন কাশ্মীরে জমি কিনতে পারেন এবং সেখানে চাকরি করতে আসতে পারেন। আগে এই অধিকার শুধু কাশ্মীরের মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। যার ফলে এখন প্রতি বছর কাজের খোঁজে হাজারো ভারতীয় দেশটির অন্যান্য অংশ থেকে কাশ্মীরে আসেন।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কাশ্মীরে থিতু হতে আসা যেকোনো ভারতীয় নাগরিককে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।

Comments