ভারতে সমুদ্রের ওপর ২১.৮ কিমি দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১৮ হাজার কোটি রুপি

অটল সেতু। ছবি: সংগৃহীত

মহারাষ্ট্রে সমুদ্রের ওপর ২১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করেছে ভারত। যা দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর উদ্বোধন করেন।

সেতুটির নাম মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিংক (এমটিএইচএল), যা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে 'অটল বিহারী বাজপেয়ী সেউরি নব সেবা অটল সেতু' নামকরণ করা হয়েছে।

১৯৬৩ সাল থেকে এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। তবে বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। করোনা মহামারিকালে সেতুর কাজ কিছুটা স্তিমিত থাকলেও পরবর্তীতে দ্রুত এর কাজ এগুতে থাকে।

অটল সেতু। ছবি: রয়টার্স

জাপানি প্রযুক্তির সহায়তায় সেতুটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৮৪৩ কোটি রুপি। তবে মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমএমআরডিএ) মেট্রোপলিটন কমিশনার সঞ্জয় মুখার্জী দ্য হিন্দুকে জানান, সবমিলিয়ে এই প্রকল্প সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি রুপি।

৬ লেনের সেতুটি মুম্বাইয়ের সঙ্গে নব মুম্বাইয়ের সংযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটির ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ সমুদ্রের ওপর দিয়ে গেছে।

দ্য হিন্দু জানায়, আগে মুম্বাই থেকে নব মুম্বাইয়ে ৪২ কিলোমিটার সড়কপথ ঘুরে যেতে হতো। তখন সময় লাগতো প্রায় দুই ঘণ্টা। এই সেতু হওয়ার ফলে এখন ২০ মিনিটেই এ দূরত্ব পাড়ি দেওয়া যাবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সেতুর ওপর ওয়ান-ওয়ের টোল ২৫০ রুপি। গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। এতে মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা ও ট্রাক্টর চলবে না।

শনিবার সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশা, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৭০ হাজারের বেশি যান চলাচল করবে।

গতকাল সেতু উদ্বোধনের সময় মোদি বলেন, 'অটল সেতুর উদ্বোধন ভারতের অবকাঠামোগত দক্ষতাকে তুলে ধরেছে এবং এটি বিকশিত ভারতকে নির্দেশ করে।'

তিনি বলেন, 'এই প্রকল্পে যে পরিমাণ ইস্পাত ব্যবহৃত হয়েছে, তা দিয়ে ৪টি হাওড়া সেতু ও ৬টি স্ট্যাচু অব লিবার্টি নির্মাণ করা সম্ভব।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago