মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

মণিপুর সহিংসতা: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় লোকসভায় রাহুলের সমালোচনা

রাহুল বলেন, ‘আপনারা সারা দেশে কেরোসিন ছিটাচ্ছেন। আপনারা মণিপুরে কেরোসিন ছিটিয়েছেন এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’
রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি
রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

ভারতের বিরোধীদলের নেতা রাহুল গান্ধী মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতি তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার পর দেওয়া প্রথম বক্তব্যে রাহুল গান্ধী এসব কথা বলেন।

বেশ কয়েক মাস ধরে চলমান মণিপুরের সহিংসতা নিরসনে মোদি সরকার সফল না হওয়ায় বিরোধী দলের সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়। অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের অংশ হিসেবে রাহুল গান্ধী আজ লোকসভায় বক্তব্য দেন। 

রাহুল বলেন, 'আপনারা সারা দেশে কেরোসিন ছিটাচ্ছেন। আপনারা মণিপুরে কেরোসিন ছিটিয়েছেন এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।'

রাহুল গান্ধীর এ বক্তব্যে সমর্থকরা উল্লাস ও প্রতিপক্ষ আইনপ্রণেতারা বিদ্রূপ করে ওঠেন।

'আপনারা সারা দেশকে পুড়িয়ে ফেলতে উদ্যত হয়েছেন। আপনারা ভারত মাতাকে হত্যা করছেন', যোগ করেন তিনি।

ক্ষমতাসীন বিজেপি ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। অনাস্থা ভোটে তারা খুব সহজেই জিতবে বলা আশা করা যাচ্ছে। দলটি এই অনাস্থা প্রস্তাবকে মনোযোগ আকর্ষণের অপচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছে।

রাহুল অন্যান্য আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, 'ভারতের সেনাবাহিনী ১ দিনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, কিন্তু আপনারা একে ব্যবহার করছেন না।'

'মোদি যদি ভারতের কণ্ঠ না শোনেন, তাহলে কার কণ্ঠ শোনেন তিনি?', যোগ করেন রাহুল।

দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে সেনা সদস্য এনে মণিপুরের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়েছে সরকার। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে কারফিউ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে।

৩ মে থেকে মণিপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মূলত সে সময় থেকে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছে। এসব ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সংঘাত শুরুর পর ২ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এখনও কোনো বক্তব্য দেননি, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্ক শেষ হবে।

Comments