২৫ বছর পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকছেন না নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য
ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের সদস্যরা দলের প্রধান নির্বাচনের জন্য আজ সোমবার ভোট দিচ্ছেন। প্রায় ২৫ বছর পর এবারই প্রথম ভারতের প্রভাবশালী নেহেরু ও গান্ধী রাজনৈতিক পরিবারের বাইরে থেকে কোনো নেতা দলটির প্রধান হতে চলেছেন।
আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
দলের অনেক সদস্যের সমর্থন আছে বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের (৮০) প্রতি। ইতোমধ্যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিসংঘের সাবেক কূটনীতিক শশী থারুর (৬৬) অভিযোগ করেছেন, দলের বড় নেতারা প্রকাশ্যে খাড়গের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানাচ্ছেন।
আগামী বুধবার নির্বাচনের ফল জানা যাবে।
রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব থাকা সত্ত্বেও গত ২ জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে পরাজিত হওয়ার পর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায় কংগ্রেস। দলের নতুন নেতার হাত ধরে কংগ্রেস নিজেদের ভাবমূর্তির উন্নয়নের আশা করছে।
ভারতের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৪৭ সালে ভারতকে যুক্তরাজ্যের শাসন থেকে মুক্ত করার পর বেশ কয়েক যুগ ভারতে তুমুল জনপ্রিয় দল হিসেবে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা পায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলটি বড় আকারে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের একজন কংগ্রেস প্রতিনিধি অজয় কুমার লাল্লু বলেন, 'আমরা খাড়গেকে সমর্থন জানাচ্ছি এবং আশা করছি তিনি দলের প্রতিনিধিদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের ভোট পাবেন।'
'খাড়গে দলের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ তাকে সমর্থন করেন। তিনি খুব সম্ভবত দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করবেন', যোগ করেন তিনি।
খাড়গে জানান, তিনি 'প্রতিনিধিদের সহায়তা কামনা করছেন যাতে কংগ্রেসকে আরও বলিষ্ঠ করে আরও উন্নত ভারত নিশ্চিত করা যায়।'
২০১৯ সালের জুলাইতে দলের তৎকালীন প্রধান রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন তার মা সোনিয়া গান্ধী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে থারুর জানান, তিনি খাড়গেকে সম্মান করেন এবং তারা দুইজনই দলের সাফল্যের জন্য নিবেদিত। খাড়গের সঙ্গে কথোপকথনে এ বিষয়গুলো আলোচনা করার কথা জানান থারুর।
কংগ্রেসের সূচনালগ্ন থেকে বেশিরভাগ সময় জুড়ে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। সর্বসম্মতিক্রমে ৫ বছরের মেয়াদে দলের সভাপতি নির্বাচন করেন কংগ্রেসের সদস্যরা। তবে ১৯৩৭, ১৯৫০, ১৯৯৭ ও ২০০০ সালে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছিল।
Comments