কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রেরণা মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

বাঙালী মুসলমান রেনেসাঁর অগ্রদূত মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ জ্ঞান, পাণ্ডিত্য, মনীষা ও প্রজ্ঞার জীবন্ত প্রতীক। দুঃখের বিষয় আমাদের জাতীয় স্মৃতি ও স্মরণে শহীদুল্লাহর অনবদ্য অবদানের কোন শাশ্বত স্বীকৃতি নেই!  কোন লেখকই তাঁর দেশ ও কাল থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এই প্রেক্ষিতে যারা সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করেন তাদের স্মরণ জাতীয় দায়িত্ব।

আমার দেখি সিপাহী বিদ্রোহের ও ওহাবী আন্দোলনের পটভূমিতে গত শতাব্দীতে উর্দু ভাষাভাষী ভারতীয় মুসলিম সমাজে সমাজ সংস্কারক ও চিন্তাবিদ হিসেবে স্যার সৈয়দ আহমদের যে ভূমিকা তা আমাদের সমাজে নবাব আব্দুল লতিফ, আমির আলীর মতো চিন্তকেরা পালন করলেও বাংলা ভাষাভাষী মুসলমান সমাজে তা প্রত্যাশিত আলোড়ন সৃষ্টি করেনি। এবং সেই পরম্পরা এগোয়নি।

বিশেষ করে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনা মুসলমানদের মারাত্মকভাবে আশাহত করে। পিছিয়ে পড়া বাঙালি মুসলমানের মানস পটে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, এ কে ফজলুল হক, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা শওকত আলী, মুন্সী মেহেরুল্লা, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী,‌ কাজী নজরুল ইসলাম, কাজী আব্দুল ওদুদ, আবুল হোসেন, কাজী মোতাহের হোসেন, মোতাহার হোসেন চৌধুরী, আবুল ফজল, বেগম রোকেয়া, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মাওলানা আকরাম খাঁ, আবুল মনসুর আহমদ প্রমুখ মনীষীর প্রচেষ্টায় তখন বাংলার জাগরণ তৈরি হয়েছিল। তাঁদের অবদান মূল্যায়ন উদ্দেশ্য নয়, বরং এ রচনায় মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জীবন, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শের উপর সামান্য আলোকপাতের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কেবল ভাষাতাত্ত্বিক ছিলেন না, তিনি একজন অসাধারণ ভাষাবিদ ছিলেন। অধ্যাপক মনসুর মুসা তাঁর রচিত "ভাষাতাত্ত্বিক ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ" শীর্ষক প্রবন্ধে  জানিয়েছেন যে , ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কমপক্ষে ১৪ টি এবং বেশির পক্ষে ১৮ টি ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। এত বড় একজন ভাষাবিদ ও ভাষা তাত্ত্বিকের বক্তব্যের প্রসারতা অনুধাবনের জন্য যে শিক্ষাগত মানস প্রস্তুতি তা সাম্প্রতিককালের খুব স্বল্প সংখ্যক বাঙালি পণ্ডিতের আছে।

ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়াউদ্দীন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কেউ বিরোধিতা করেননি। শুধু মুহম্মদ শহীদুল্লাহ দৈনিক আজাদ পত্রিকায় "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা" শীর্ষক একটি প্রবন্ধে জিয়াউদ্দীন আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে এর বিরোধিতা করেন।

প্রবন্ধে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন,   "বাংলা দেশের কোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু বা হিন্দি ভাষা গ্রহণ করা হইলে, ইহা রাজনৈতিক পরাধীনতারই নামান্তর হইবে। জিয়াউদ্দীন আহমদ পাকিস্তানের প্রদেশসমূহের বিদ্যালয়ের শিক্ষার বাহনরূপে প্রাদেশিক ভাষার পরিবর্তে উর্দু ভাষার সপক্ষে যে অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন, আমি একজন শিক্ষাবিদরুপে উহার তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি। ইহা কেবলমাত্র বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও নীতি বিরোধি নয়, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ও অত্মনিয়ন্ত্রন অধিকারের নীতি বিগর্হিতও বটে"।

তিনি প্রথম উর্দুর পরিবর্তে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিক দাবি জানান ।পরবর্তীতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, গণ আজাদি লীগ এবং তমদ্দুন মজলিসের লেখকেরা রাষ্ট্রভাষা 'বাংলা'র প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়া শহীদুল্লাহ  বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সম্পাদক ছিলেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা ও সম্মেলনে সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন সেগুলির মধ্যে উল্লেখ উল্লেখযোগ্য দ্বিতীয় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলন, ঢাকাই মুসলিম সাহিত্য সমাজ আন্দোলন, কলকাতার নিখিল বঙ্গ মুসলিম যুবক সম্মেলন, হায়দ্রাবাদের নিখিল ভারত প্রাচ্যবিদ্যা সম্মেলন এবং পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন। মাদ্রাজে ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন ট্র্যাডিশনাল কালচার ইন সাউথ ইস্টেশীয় অনুষ্ঠানে তিনি ইউনেস্কোর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তার চেয়ারম্যান মনোনীত হন।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বৈচিত্র্য পিয়াসী মন একমাত্র ধ্বনিতত্ত্ব কিংবা তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে নিবন্ধ ছিল না। তিনি ব্যাকরণ সর্বস্ব পণ্ডিত ছিলেন না । তিনি সারা পৃথিবীর যেকোনো প্রথম সারির বিজ্ঞানমনা গবেষকের মতোই বিশ্লেষণই শক্তির অধিকারী ছিলেন। তার সে শক্তি তিনি যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে গবেষণা সহায়ক ছিলেন তখনই প্রকাশ লাভ করেছিল এবং এটা অত্যন্ত কৃতিত্বের কথা যে সেই সময় ১৯২১ সালে যখন চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত তা নিয়ে বড় বড় পণ্ডিতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল শহীদুল্লাহ তখন "এ্যান আউটলাইনস অফ বেঙ্গলি গ্রামার" নামক একটি প্রবন্ধে পরিষ্কার ভাষায় চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত বলে যুক্তি প্রদর্শন করেন।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর অতি উন্নত মানের বিচারবোধ এবং তার পরিচয় ফ্রান্স এগিয়ে ফরাসি ভাষার মাধ্যমে ও প্রকাশ করে এসেছেন এবং প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার  স্বীকৃতি স্বরূপ ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। বস্তুতো তিনি বাংলা ভাষার উৎপত্তির ইতিহাস নির্মাণে যে অসাধারণ প্রজ্ঞা ও বিশ্ব উষ্ণ জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন তার কোন তুলনা নেই এক্ষেত্রে তিনি গিয়াসন ও সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতানুবর্তী না হয়ে তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বৃহত্তর দাবি ও প্রত্যাশাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মুসলমানদের এবং ইসলামের খেদমতগার রূপে যে দায়িত্ব অনুভব করেছিলেন তা পালন করতে লিখেছিলেন প্রায় অর্ধশত প্রবন্ধ তাই এক্ষেত্রে তার অবদান সম্পর্কে উল্লেখ করতে আলী হাসান রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত শীর্ষ গ্রন্থে লিখেছেন ভাষাতত্ত্ব ও সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি তিনি আজীবন ইসলাম ধর্মকে বুঝবার এবং তার সেবা করবার যথাযোগ্য প্রয়াস  গ্রহণ করে এসেছেন। সেই সাধনার বশবর্তী হয়ে ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে তিনি বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ধর্মতত্ত্ব ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পর্কে  যেসব আলোচনা রেখে গিয়েছেন তার মধ্যে "ইসলাম প্রসঙ্গ" শীর্ষক গ্রন্থের প্রবন্ধ 'দুই জিহাদ', 'ইসলামী সমাজের রূপ', 'ইসলামে রাষ্ট্রের স্বরূপ' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । ইসলামে 'নারীর ধর্ম সম্পর্কিত অধিকার' শীর্ষক রচনাটিও এ পর্যায়ে পড়ে। তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে যেসব রচনা রেখে গিয়েছেন তার সংখ্যা অনেক। 

শহীদুল্লাহ মনীষী হিসেবে তিনি ছিলেন শিক্ষিত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভাজন এবং মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন আপামর জনসাধারণের ভক্তিভাজন। অমায়িক, নিরহংকার, ভদ্র, নম্র , বিনয়ী এবং সদালাপী এই মহান মানুষটি  আমাদের জাতীয় জীবনে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবার কথা। কেননা তিনি  অনুন্নত, পিছিয়ে থাকা, বিশেষ করে মুসলমান সমাজের বাতিঘর ছিলেন। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ "ভিক্ষাবৃত্তি বিলোপ" শিরোনামে পাকিস্তান শাসনামলে একটি চমৎকার নিবন্ধ লিখেছিলেন। এ নিবন্ধটি তাঁর "ইসলাম প্রসঙ্গ" নামক গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। মুসলমান সমাজে দারিদ্রের কষাঘাতে পিষ্ট জীবন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য আজও প্রাসঙ্গিক ও মূল্যবান। এতে তিনি দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। "দারিদ্র্য মোচন না করে ভিক্ষাবৃত্তি বিলোপ ঘোড়ার আগে গাড়ি রাখার মত অনর্থক ও হাস্যজনক"- অভিমত  শহীদুল্লাহর।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক গোলাম সাকলায়েন রচিত অন্তরঙ্গ আলোকে ডক্টর শহীদুল্লাহ নামক গ্রন্থে তিনি  লিখেছেন যে, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শক্তি ও প্রেরণার উৎস ছিলেন। তিনি জাত পণ্ডিত কিন্তু পান্ডিত্যাভিমান ছিলেন না। আজীবন ছাত্রদের সঙ্গে মিশেছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের যে কোন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন।

"ক্লাসেই হোক বাড়িতেই হোক অথবা অফিসের কর্মব্যস্ততার মধ্যেই হোক যখনি ছাত্রছাত্রীরা কোন কাজ নিয়ে তার কাছে গেছে অথবা সাহায্য চেয়েছে  তখনই নিজের সবকিছু ফেলে তার দাক্ষিণ্যের হাত বাড়িয়েছেন, অযাচিত উপকার করেছেন  শিষ্যের। অমুক ছাত্র হলে বা হোস্টেলে সিট পাচ্ছে না সিটের জন্য বলে দিলেন হলের প্রভোস্টকে, সিট হয়ে গেল। অমক ছাত্র ভর্তি হতে পারছে না, করে দিলেন ভর্তির ব্যবস্থা।  অমুক ছাত্র জানালো যে, তার দেশের বাড়ি যাবার রেল খরচা নেই, দিয়ে দিলেন তার রেল ভাড়া। কোন ছাত্র জানালো, দেশের বাড়িতে তার বাবা মুমূর্ষু, শয্যাগত। তিনি অর্থ সাহায্য করে তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে ফিরে গেছে দেশে। কেউ এসে ধরল যে, তাঁর অমুক ছাত্রীর সঙ্গে অমুকের বিয়ে, তাঁকে বিয়ের মজলিসে গিয়ে বিয়ে পড়াতে হবে। শত কাজ ফেলে তাঁর যাওয়া চাই সেখানে। ছাত্রদের প্রতি তাঁর এই অকুণ্ঠ দরদের কথা  সর্বজনবিদিত"।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন জ্ঞানপিপাসু, পরোপকারী, মানব-দরদী, আত্মনির্ভরশীল, পরমতসহিষ্ণু ও উদারবাদী মনের অধিকারী ব্যক্তিত্ব। জ্ঞানতাপস এ মানুষটি আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম গবেষক, লেখক ও শিক্ষাবিদ

মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা চিঠিপত্র থেকেও আমরা তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে  কিছুটা আভাস পেতে পারি। ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমী পত্রিকায়  "পত্রে মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পরিচয়" শীর্ষক একটি  প্রবন্ধের দুই কিস্তিতে আ. মূ. মূ. নূরুল ইসলাম মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের লেখা ১২ টি চিঠি প্রকাশ করেছেন। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ  তাঁর জ্যৈষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ শফিউল্লাহকে  ১৪/১০/১৯২৬ সনে প্যারিস থেকে লেখা একটি পত্রে লিখছেন এভাবে :
 "তোমার মার অবস্থা জানিতে বিশেষ চিন্তিত আছি। তোমার মা যদি ভালো থাকে আমাকে দুই এক লাইন লিখিতে বলিবে। তোমাদের খাওয়া-দাওয়ার কিছু কষ্ট হইতেছে । কিন্তু বাবা কি করিবে একটু সবর করিও"।

১৯২৬ সালে অন্য আরেকটি পত্রে জ্যেষ্ঠপুত্র শফিউল্লাহ কে তিনি লেখেন, "আমি যেমন মন  দিয়া পড়িতেছি,  বাবা তুমিও তেমনি মন দিয়া পড়িবে. তা হইলে আমি খুব খুশি হইব"। প্রায় একই রকমের পরামর্শ প্রদান করে স্নেহপরায়ণ পিতা মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ২৮/৪/১৯২৭ তারিখে তাঁর জ্যৈষ্ঠ কন্যা মাহযু্যাহ খাতুন -কে  প্যারিস থেকে লেখা  একটি পত্রে  লিখেছেন, "এখন এখানে মিষ্ট শীত। আমি ভালই আছি। যাহাতে শীঘ্রই কাজ শেষ করিয়া বাড়ী ফিরিতে পারি, সেই জন্য যথাসাধ্য পরিশ্রম করিতেছি। মধ্যে মধ্যে খাব যোগে তোমাদিগকে দেখি। মা তুমি মন দিয়া একটু পড়াশোনা করিবে"।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন জ্ঞানপিপাসু, পরোপকারী, মানব-দরদী, আত্মনির্ভরশীল, পরমতসহিষ্ণু ও উদারবাদী মনের অধিকারী ব্যক্তিত্ব। জ্ঞানতাপসু এ মানুষটি আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম গবেষক, লেখক ও শিক্ষাবিদ। তাঁর একাডেমিক অবদান ও কাজকর্মের উপর আজ অব্দি কোন পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন সম্ভবপর হয়নি। বিস্মৃতিপ্রবণ জাতি হিসেবে তাঁকে আমরা অংশত ভুলেই গিয়েছি। এটি আমাদের জন্য সত্যি হতাশার ও দুর্ভাগ্যের! আশা করব, আগ্রহী গবেষকগণ তাঁর রচনাবলী ও কর্মযজ্ঞের উপর বস্তুনিষ্ঠ গবেষণায় মনোনিবেশ করবেন।
 

Comments

The Daily Star  | English

CA to unveil election date within 4 to 5 days

The Jatiya Party (Kazi Zafar) chief made the remarks after a meeting between Yunus and 12 parties at the state guest house Jamuna

2h ago