প্রকৃতির আড়ালে স্বাধীনতার কথা বলা বিভূতিভূষণ
বিভূতিভূষণের স্বতন্ত্রতা একটু বেশীই আলাদা। তিনি লিখেছেন কালজয়ী সব সাহিত্য। পথের পাঁচালী, অপরাজিত, মেঘমল্লার, মৌরিফুল, যাত্রাবদল, চাঁদের পাহাড়, কিন্নরদল, আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, মরণের ডঙ্কা বাজে, স্মৃতির রেখা, দেবযান, হীরামানিক জ্বলে, উৎকর্ণ, হে অরণ্য কথা কও, ইছামতী, অশনি সংকেত প্রভৃতি। নামগুলোর মধ্যে প্রকৃতিঘেঁষা মনের ছাপ কি খুব বেশি, হবে হয়তো। তিনি কি কেবলই প্রকৃতিবাদী ছিলেন?
একজন কথাসাহিত্যিক যখন সাহিত্যের মোড়কে এক এর পর এক প্রকৃতিনামা উপহার দিচ্ছেন তখন উনার দেশ পরাধীন, ব্রিটিশ শাসনে নিষ্পেষিত, সকল প্রকার মৌলিক ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। স্বাধীনতা আন্দোলন তখন উত্তুঙ্গমাত্রায়। কিন্তু তিনি কর্ম পরিসরের বাইরে যেটুকু সময় পাচ্ছেন ব্যক্তি জীবন ও সৃজনলোকের পুরোটাই উৎসর্গ করছেন প্রকৃতি সংলগ্নতায়, প্রেমে ও যাপনে।
তা হলে কি উনাকে প্রকৃতির বাইরের কোনকিছু স্পর্শ করত না, অবশ্যই করতো। দেশমাতৃকার বেদনা, মানুষের সঙ্গে শাসক, শোষক ও ক্ষমতাধারীদের অনৈতিক ও অন্যায্য আচরণে উনি কি আহত হতেন না, গভীরভাবেই হতেন। তিনি মনে করতেন প্রকৃতির কাছেই রয়েছে মানুষের সমূহ শিক্ষার বারতা। জারি রয়েছে, বহুর মধ্যে ঐক্য স্থাপনের অনন্য উদাহরণ। যা ধারণ করলে জাগতিক মানুষের পক্ষে মাটির পৃথিবীতেই রচনা করা সম্ভব স্বর্গের আধার। কিন্তু আমরা প্রকৃতিকে সেভাবে দেখতে অভ্যস্ত নয়, অপারগও বটে। একারণে, জন্মের সোয়াশ' বছর পেরিয়েও আড়ালেই রয়ে গেছে প্রকৃতিপ্রেমের মোড়কে উনার দেশপ্রেম, স্বদেশ-হিতৈষণা ও মানবসূচক উন্নয়নের মৌল আকাঙ্ক্ষা। যা তিনি জারি রেখেছিলেন ১৯২৫ থেকে ১৯৫০ সময়াবধি। বলছি, বিভূতিভূষণের কথা।
তিনি জাগতিক যাত্রা শুরু ঊনবিংশ শতকের একেবারে শেষাশেষি ১৯৯৪ এর ১২ সেপ্টেম্বর, যার দাঁড়ি পড়ে বিংশ শতকের একেবারে মধ্যলগ্নে ১৯৫০ এর ১ নভেম্বর। সৃজন সময় ১৯২৫ থেকে মৃত্যাবধি। প্রথম লেখা 'পথের পাঁচালি'। লিখেছেন তিন বছর ধরে। বই আকারে বেরোয় ১৯২৯ এ। 'পথের পাঁচালী' প্রথম লিখেছিলেন পাঁচশ পৃষ্ঠার। প্রথম লেখার সংকোচ, পাঠক কীভাবে নেন তার সংশয়, দ্বিধা ও বিহ্বলতা থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিলেন কবিগুরুকে দেখাবেন পাণ্ডুলিপিটা। রওয়ানাও দিয়েছিলেন অভিপ্রায়মতো। যার অংশহিসেবে ভাগলপুরে পৌঁছানোর পর ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক জনবিরল এলাকায়। সেখানেই দেখেছিলেন একটা মেয়েকে, কৈশোরক চঞ্চলতা ছিল যার আপাদমস্তক। তারপর? তার পর ছিঁড়ে ফেলেছিলেন পাঁচশ পৃষ্ঠার ওই লেখা, প্রথম 'পথের পাঁচালী'। এই মেয়েটিকে দুর্গায় প্রতিস্থাপন করে লিখলেন নতুন 'পথের পাঁচালী', যা এখনও বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
পথের পাঁচালির দুর্গাকে আবিষ্কার করেছিলেন বিভূতি। ভাগলপুরের সেই মেয়েটিকে প্রথম দেখার পর কী অনুভূতি হয়েছিল সেকথা বলেছিলেন বন্ধু যোগেন্দ্রনাথ সিংহকে, 'মাথার চুল উস্কো-খুস্কো, চোখে উদ্দেশ্যহীন চাহনি, অথচ মুখে দুষ্টুমির চিহ্ন। মনে হয় স্কুল থেকে পালিয়েছে, নয়তো বাড়ি থেকে মেরে তাড়িয়েছে। এখানে দাঁড়িয়ে নতুন কিছু দুষ্টুমির মতলব আঁটছে।'
এই কিশোরীকে দেখে বিভূতির মনে হয়েছিল ওর চোখের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে ব্যথাভরা এক জগত, যার অন্বেষণকেই ব্রত জ্ঞান করেছেন সমগ্র লেখকজীবনে। উনার কাছে জীবন ও জগতের ভরকেন্দ্র ছিল প্রকৃতি পরিবেশ ও চেনা-অচেনা চৌহদ্দির ভূগোল ও ভগবান।
বিভূতির চোখ যেন মাছির চোখ, যা বহুধাবিস্তৃত। প্রকৃতি যেমন তার সকল কিছু উন্মোচন করেই বসে থাকে। তাকে ভালবাসতে হলে ভাল মন্দ মিলিয়ে বাসতে হয়। কাঁটা আছে বলেই হয়তো গোলাপ এত সুন্দর। 'পথের পাঁচালি'তে যেমন কেবল কাশবনের মুগ্ধতা আর প্রথমবার রেল দেখার উত্তেজনা হাজির হয়নি। অগণন প্রসঙ্গ নানাভাবে এসেছে। যার মধ্য দিয়ে একটা জনপদের সামগ্রিক সত্তায় উপস্থাপিত হয়নি। তার অভিপ্রায় ও আকাঙ্ক্ষাও কথা বলেছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিও ডালপালা ছড়িয়েছে। যা নির্মিতি দিয়েছে একটা ভূগোলের মানস প্রতিমাকে। একজন মহৎ শিল্পীর পক্ষেই কেবল সম্ভব সকল মাত্রাকে একটা কাঠামোর মধ্যে দিয়ে উপস্থাপন করা, বিভূতি যেটা করে বাংলা কথাসাহিত্যকে অন্য এক মহিমায় উচ্চকিত ও গৌরবদান করেছেন।
পথের পাঁচালীতে উল্লিখিত হয়েছে, 'ব্রিটিশ শাসন তখনও দেশে বদ্ধমূল হয় নাই। যাতায়াতের পথ সকল ঘোর বিপদসংকুল ও ঠগী, ঠ্যাঙাড়ে, জলদস্যু প্রভৃতিতে পূর্ণ থাকিত। এই ডাকাতে দল প্রায়ই গোয়ালা, বাগদী, বাউরী শ্রেণীর লোক। তাহারা অত্যন্ত বলবান- লাঠি এবং সড়কী চালানোতে সুনিপুণ ছিল। বহু গ্রামের নিভৃত প্রান্তে ইহাদের স্থাপিত ডাকাতে-কালীর মন্দিরের চিহ্ন এখনও বর্তমান আছে। দিনমানে ইহারা ভালমানুষ সাজিয়া বেড়াইত, রাত্রে কালীপূজা দিয়া দুল পল্লীতে গৃহস্থ-বাড়ী লুঠ করিতে বাহির হইত। তখনকার কালে অনেক সমৃদ্ধশালী গৃহস্থও ডাকাতি করিয়া অর্থ সঞ্চয় করিতেন। বাংলাদেশে বহু জমিদার ও অবস্থাপন্ন গৃহস্থের অর্থের মূলভিত্তি যে এই পূর্বপুরুষ-সঞ্চিত লুণ্ঠিত ধনরত্ন, যাঁহারাই প্রাচীন বাংলার কথা জানেন, তাঁহারা ইহাও জানেন।''
নদী ইছামতীর প্রতি বিভূতির যে দুর্বলতা, অপার টান, প্রাণের পক্ষপাত; তার অনেকটাই স্পষ্টরূপে জারি আছে উনার ডায়েরিতে। ১৯২৮ এর ১ মার্চ লিখেছেন, ''এই রকম ধূ ধূ বালিয়াড়ি, পাহাড় নয়, শান্ত, ছোট, স্নিগ্ধ ইচ্ছামতীর দু-পাড় ধরে বনকুসুম, কত ফুলে ভরা ঘেুঁট বন, গাছপালা, গাঙশালিকের বাসা, সবুজ তৃণাচ্ছাদিত মাঠ। গাঁয়ে গাঁয়ে গ্রামের ঘাট, আকন্দ ফুল, এই নদীঘেরা গ্রাম বাংলার মানুষ-মানুষি প্রকৃতি নিয়ে একটি গল্প লিখব। নাম দেব 'ইচ্ছামতী'।''
কথা রেখেছিলেন তিনি। জীবনের একেবারে উপান্তে এসে লিখেছিলেন সেই উপন্যাস। নাম অবশ্য দাঁড়িয়েছিল 'ইচ্ছামতী' নয় 'ইছামতী'।
বিভূতির অনবদ্য এক সৃষ্টি 'দৃষ্টি প্রদীপ'। ওই উপন্যাসের চরিত্র জিতুর উপলব্ধি হল, 'নীল আকাশের দেবতা, যাঁর ছবি এই বিশাল মাঠের মধ্যে সন্ধ্যার মেঘে, কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়ায়…।' জিতুর এই দেবতাকে তিনি মনে করতেন সমস্ত দেশ-কাল-ধর্মের অতীত। এই বোঝাপড়া জানা থাকলে বিভূতি-মানসের রূপরেখা বোঝা কঠিন নয়, কোনপ্রকার ধন্ধ থাকার সুযোগও নেই। বিভূতির কাল সচেতনতা কি প্রখর ও বিশেষ ইঙ্গিতবাহী ছিল? 'পথের পাঁচালী'তে তিনি লিখেছিলেন 'ইন্দির ঠাকুরুনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিন্দিপুর গামে সেকালের অবসান হইয়া গেল।' অর্থাৎ ইন্দির ঠাকরুনের মৃত্যু কেবল একজন মানুষের মৃত্যু নয় একটা কালেরও যবনিকাপাত। এর মধ্যে দিয়ে একজন লেখকের জীবন ও জগতের সকল মাত্রা সম্পর্কে অন্বেষা, অবলোকন ও তত্ত্বায়ন কতটা দুঁদে ও চেতনালোকসঞ্চারী তার ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কথা সাহিত্যের স্বতন্ত্রধারার সৃজন কারিগর শুধু প্রকৃতিকে ভালই বাসেননি, জীবনভর পরম যত্নে গভীর মমতায় প্রকৃতির চর্চা করে গেছেন। প্রকৃতি যাপন বলতে যা বোঝায় তার দৃষ্টান্ত জারি রেখেছেন, জীবন-কর্ম ও সৃজনের প্রতিটি মুহূর্ত সদর্থক অর্থেই অক্সিজেন জ্ঞানে ব্যয়িত করেছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ও Wide World এর নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন। এই পাঠাভ্যাস ও প্রকৃতি বিষয়ক অনুসন্ধান উনার দৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক করে তোলাই কি সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয়?
ডারউইন ১৮৩১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সাত সমুদ্রের উদ্দেশে ইংল্যান্ডের প্লাইমাউথ বন্দর ছেড়ে যান। এইচ এম এস বিগল জাহাজে চেপে বিশাল জলরাশির বুকে উনার এই যাত্রা অমোঘ হলেও ছিল লক্ষ্যাভিসারি। এই সময় ও তার আগের সভ্যতা ও মানব ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানা থাকলে বুঝতে সহায়ক হবে ডারউইনের এই অমোঘ যাত্রার কারণ ও প্রাসঙ্গিকতা। তখন বিশ্বজুড়ে মানবতাবাদ বিপন্ন ও লাঞ্ছিত।
বিশেষ করে বর্ণবাদের অভিশাপে কালো-কৃষ্ণাজ্ঞদের জীবনে নেই ন্যূনতা কোন মানবিক অধিকার। দাসপ্রথা তখনও হয়নি বিলুপ্ত। কেবল মানুষ নয় ইউরোপ আমেরিকা জুড়ে যুতসই কোন কারণ ছাড়াই চলছে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনাশ। সে এক বিপন্ন সময়। যখন কেবল গুটি কয়েক ক্ষমতাধর ও তার চতুষ্পার্শ্বে থাকা সুবিধাভোগীরা ব্যতীত সকলেই অত্যাচার-অনাচারে বিধ্বস্ত-বিধ্বংস-মৃত্যুন্মুখ। এই দুঃখ, বেদনায় ডারউইন হয়ে পড়েছিলেন ভীষণ রকমের বিচলিত। মুক্তির উপায় হিসেবে নিজেকে বারবার প্রশ্নবাণে করেছিলেন ক্ষত-বিক্ষত। বিশ্বাস করেছিলেন একটা উপায় নিশ্চয় আছে? কিন্তু জানেন না নির্দিষ্ট করে কী সে উপায়? এইসব ভাবনা থেকেই সেদিন তিনি সাত সমুদ্রের দিকে যাত্রা শুরু করেন। তার পরের ইতিহাস জানা সকলেরই। ১৮৫১ সালে প্রকাশিত হয় ডারউইনের ধ্রুপদী বই 'অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস'। যেখানে তিনি বললেন, 'ন্যাচারাল সিলেকশন' বা 'প্রাকৃতিক নির্বাচন'। এবং বিশ্ব জানল, এই জগত ও সকল সৃষ্টি মূলত এক থেকে বহুর সৃষ্টি। সুতরাং বহুর মধ্যে ঐক্যর সাধনায় হলো প্রকৃত পথ। জীবন ও জগতকে রক্ষার গায়ত্রী মন্ত্র।
বিভূতির প্রকৃতিসংলগ্নতা, প্রেম, পক্ষপাত ও যাপনেও কি এরকম স্বর ও সুর উচ্চকিত হয়েছে, নিশ্চয়। তিনি বিশ্বাস করতেন প্রকৃতির যে শিক্ষা বহুর মধ্যে ঐক্য এই মন্ত্রে নিষ্ঠাবান হলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পোঁছতে পারব। যার মধ্যে দিয়ে সার্থক হবে আমাদের দেশপ্রেম, মানবহিতৈষণা, জাতীয়তাবাদ এবং নৈতিক ও ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্নসমূহ। যার মধ্যে নিহিত আছে বিভূতির স্বতন্ত্রতার শক্তি। তিনি এই প্রতীতিতে আস্থাবান ছিলেন যে, প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে জগত ও জীবনকে জানা বোঝা সকল প্রকার সর্বনাশ থেকে রক্ষার যাবতীয় ধারাপাত।
বিভূতিভূষণ নিজেকে 'ঈশ্বরের সন্তান' ভাবতেন এবং সেটা প্রকৃতি সংলগ্নতার কারণেই। শাস্ত্রী উপাধিপ্রাপ্ত সংস্কৃত পণ্ডিতের সন্তান প্রকৃতির প্রভাবে ও প্রেমে পড়ে হয়ে উঠেছিলেন প্রচলিত ধর্মে অনীহ। শরণ নিয়েছিল অজ্ঞেয়বাদের, এ কারণে উনাকে অনেকেই পক্ষে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছেন। দীক্ষা নেওয়ার সবক দিয়েছেন। কিন্তু তিনি অবস্থান পরিবর্তন করেননি। বরং এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়েছেন এভাবে, 'আমি কেন কারও মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে যাব? যেতে হলে সরাসরিই যাব।'
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘরকুনো মানুষদের পছন্দ করতেন না, মনে করতেন ওরা জড় প্রকৃতির। বিভূতি এর পেছনের কারণ অন্বেষণ করে বলেছিলেন এর জন্য দায় অশিক্ষা। তিনি বিশ্বাস করতেন অতি বৈষয়িক ব্যক্তির পক্ষে অনন্ত যাত্রাপথ নিজের বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব নয়। 'পথের পাঁচালী', 'আরণ্যক', 'চাঁদের পাহাড়', 'ইছামতী', কিংবা 'অশনি সংকেত'; যার কথায় বলি না কেন, প্রকৃতির মোড়কে অন্য এক বিভূতি সবসময় হাজির থেকেছেন। সেই বিভূতি যদিও প্রকৃতির মতোই কোমল ও কঠোর কিন্তু তার নেপথ্যে জারি রয়েছে স্বতন্ত্র এক সত্তা। যে সত্তা স্বাধীনতার কথা বলা, দেশপ্রেম ও মানবহিতৈষণার মন্ত্রোচ্চারণ করে। বিভূতির সৃজন ভূগোল পরিদর্শন ও ভ্রমণে এই সত্য যেন উপেক্ষণীয় না হয়, আড়ালে থেকে না যায়।
Comments