গণঅভ্যুত্থানের দেয়ালের ভাষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না রাজনীতিবিদরা : আনু মুহম্মদ

ছবি: স্টার

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা লেখা হয়েছে শহরের অলিগলিতে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এমন লেখাগুলো উৎসাহ, উদ্দীপনা, প্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যারা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, নতুন দলের স্বপ্ন দেখছে তারা কেউ জুলাই আন্দোলনে দেয়ালের ভাষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান হলে সকালে সংস্কৃতি বাংলার আয়োজনে 'অসম্ভবের অনুভবে'— দিনব্যাপী শীতকালীন কবিতা উৎসবের অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হিসেবে বলেন। আয়োজনের মধ্যমণি ছিলেন অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস। সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, আমাদের কবি লেখক সাংবাদিকদের একটা বড় অংশ স্বৈরাচার সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। বুদ্ধিজীবীরা আঁতাত করে চলতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা পদ পদবী পেতে মরিয়া ছিল। ভিসি হবার খেয়ালে নীতি নৈতিকতা ভুলে গিয়েছিল। তাদের কারনে সাহিত্য সংস্কৃতি শিক্ষায় আমাদের সমাজে সংকট তৈরি করেছে। 

'অসম্ভবের অনুভবে' অনুষ্ঠানে ৩টি পর্বে বাংলাদেশের কবিতার এই সময়ের প্রতিনিধিত্বশীল কবিদের অন্তত ৩৬ জন কবিতা পড়েছেন। কবিতা নিয়ে আলোচনা করছেন কবি মজিদ মাহমুদ, শাখাওয়াত টিপু, কুমার চক্রবর্তী, চঞ্চল আশরাফ,  রাজু আলাউদ্দিন, জেনিস মাহমুন ও সোহেল হাসান গালিব প্রমুখ।

সাখাওয়াত টিপু বলেন, যারা কবিতা পড়েছেন সবার কবিতায় সময়টা উঠে এসেছে।  কবিতায় গণঅভ্যুত্থানের সাহসী চিত্র তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন ছাত্ররা। সাত সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনটি ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লব নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের খুব মিল। ফলে যারা ইতিহাস জানে ও বুঝে তাদের কাছে পরিষ্কার ছিল এতো রক্তের পর স্বৈরাচার সরকার থাকতে পারে না। এর জন্য কবি সাহিত্যিকদের ইতিহাস পাঠ জরুরি।

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago