বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

‘বাংলাদেশ-জাপান ডিপ্লোমেটিক রিলেশনস (১৯৭২-২০২২): অ্যা নিউ প্যারাডাইম অব স্ট্রাটেজিক পার্টরানশিপ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম রচিত, 'বাংলাদেশ-জাপান ডিপ্লোমেটিক রিলেশনস (১৯৭২-২০২২): অ্যা নিউ প্যারাডাইম অব স্ট্রাটেজিক পার্টরানশিপ' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকায় জাপান দূতাবাসে এ অনুষ্ঠান হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী নোমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ।

ইতো নাওকি বলেন, এই বই ভবিষ্যৎ একাডেমিয়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে, বিশেষত জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে। বইটি লেখার জন্য লেখককে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বইটি বিশেষত রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অঞ্চল অধ্যয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উন্নয়ন অধ্যয়নসহ সমসাময়িক বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, এই বই ২ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সম্পর্কের বর্তমান সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার উপর জোর দিয়েছে। জাপানের উন্নয়ন থেকে বাংলাদেশ শিখতে পারে, বিশেষত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে কীভাবে এই দেশটি উন্নত হয়েছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাপান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী এবং বাংলাদেশের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল, ঢাকার এমআরটি লাইনসহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করছে যা বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। এই বই একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। তিনি বলেন, ২ দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বিরল একাডেমিক প্রচেষ্টা।

১০ অধ্যায়ে বিভক্ত এই বইয়ে লেখক জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাস পরিক্রমা, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন।  

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago