প্রায় ৭০০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে গেল জাহাজ
নয় মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া থেকে প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বারো আউলিয়া নামের একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে রওনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ শুরু হয়। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে চলতি বছর আজ থেকে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় পর্যটকদের বিভিন্ন নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। দ্বীপে পলিথিন ও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের একটি ট্রাভেল পাস নিতে হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ভ্রমণ পাসের জন্য অ্যাপ তৈরি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটন জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেন্টমার্টিন রুটের সি-ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসেনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, 'নয় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে বারো আউলিয়া জাহাজটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।'
জাহাজটি বিকেল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে বর্তমানে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি নেই। শুধুমাত্র কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি রয়েছে।
এর আগে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন সমুদ্র রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি ছিল। বাকি ছয় মাস উত্তাল সমুদ্রের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে চরম পরিবেশ দূষণের কারণে সম্প্রতি দ্বীপটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বছর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রতি রাতের জন্য দুই হাজার পর্যটককে দ্বীপে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Comments