পূর্বাচলের ৫ রিসোর্ট

লা রিভেরিয়া রিসোর্ট। ছবি: লা রিভেরিয়া রিসোর্টের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের জন্য খুব কম সময়ে পাওয়া যায়। ব্যস্ত সময় থেকে নিজেকে কিছুটা সময় দিতে ঢাকার কাছাকাছি কোনো রিসোর্ট থেকে ঘুরে আসলে  মন খানিকটা হলেও সজীবতা খুঁজে পাবে। ঢাকার একদম কাছেই পূর্বাচল,সেখানে গড়ে উঠেছে বেশকিছু রিসোর্ট।

সারাদিন নানা অ্যাক্টিভিটি, বারবিকিউ পার্টি, খাওয়াদাওয়া, নৌভ্রমণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি রাতেও থাকতে পারবেন এসব রিসোর্টে। ছুটির দিনগুলোকে আরও আনন্দঘন করতে ঘুরে আসতে পারেন এমন কয়েকটি রিসোর্টে। 

ছুটি রিসোর্ট

পূর্বাচলের ছুটি রিসোর্ট থেকে ঘুরে আসতে পারেন পরিবারসহ। প্রায় ৫০ বিঘা জায়গার ওপর গড়ে উঠা রিসোর্টটিতে খোলামেলা পরিবেশ, সবুজে ঘেরা রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, নৌভ্রমণসহ বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। দিনের  পাশাপাশি রাতেও থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই রিসোর্টে আছে ছনের ঘর, বার্ড হাউজ,মাছ ধরার ব্যবস্থা,গ্রামীণ পিঠা ঘর, ঔষধি গাছ আর ফলের বাগান।তবে ছুটি রিসোর্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর বড় বড় লেক।

ছুটি রিসোর্ট। ছবি: ছুটি রিসোর্টের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

বাংলা খাবারের পাশাপাশি রয়েছে চাইনিজ,থাই, ইন্ডিয়ান খাবার আর তাদের লেকভিউ রেস্তোরাঁ। এখানে বেশ কয়েক ধরনের কটেজের ব্যবস্থা রয়েছে, রুম ভেদে ২৪ ঘন্টার জন্য ভাড়া পরবে ৬ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকা। তাছাড়া রয়েছে ডে আউট প্যাকেজ। এই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, দেশীয় পিঠা ও সুইমিং পুলসহ বেশকিছু সুবিধা। জনপ্রতি খরচ পড়বে আড়াই হাজার টাকা। যাওয়ার আগে যোগাযোগ করে নিতে ফোন করতে পারেন ০১৭০৯৯১৯৮৩৫ নম্বরে।

লা রিভেরিয়া রিসোর্ট

শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত এই রিসোর্টে খুব সহজেই পূর্বাচলের ৩০০ ফিট রাস্তা ধরে চলে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে এই রিসোর্টে যেতে সময় লাগবে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। উডেন কটেজ আর স্বচ্ছ সুইমিং পুলের জন্য ঘুরে আসতে পারেন এ রিসোর্ট থেকে।

লা রিভেরিয়া রিসোর্ট। ছবি: লা রিভেরিয়া রিসোর্টের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ডে লং ট্রিপ থেকে শুরু করে শুধু রাত্রিযাপন অথবা ২৪ ঘণ্টার প্যাকেজ সবই আছে। তবে আগে থেকেই বুকিং করে নেওয়া ভালো। ডে লং প্যাকেজে খরচ জনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আর ১ দিনের জন্য উডেন কটেজ বুকিং দিতে লাগবে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যোগাযোগ: ০১৮১০১১১৪২

সপ্তর্ষী রিভারসাইড রিসোর্ট

পূর্বাচলের কাঞ্চন ব্রিজের কাছে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেষে সপ্তর্ষী রিভারসাইড রিসোর্ট অবস্থিত। এখানে শীতলক্ষ্যা নদীর দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় কটেজ থেকেই। এ ছাড়াও রয়েছে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা।প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে উপভোগ এবং সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশ আর সঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদী শরীর ও মনকে প্রফুল্ল করে তুলবে।। এই রিসোর্টটিকে কংক্রিটকে কম প্রাধান্য দিয়ে প্রকৃতি নির্ভর করে গড়ে তোলা হয়েছে।

সপ্তর্ষী রিভারসাইড রিসোর্ট। ছবি: সপ্তর্ষী রিভারসাইড রিসোর্টের ফেসবুক থেকে নেওয়া

রাতে থাকা কিংবা সারাদিনের প্যাকেজ রয়েছে এই রিসোর্টে। রাতে থাকার খরচ রুম ও প্রকারভেদে ৭ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যোগাযোগের জন্য ফোন দিতে পারেন ০১৮১০০১১১৪০ নম্বরে।

পূর্বাচল শীতলক্ষ্যা রিসোর্ট

ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে আরেকটি রিসোর্ট হলো পূর্বাচল শীতলক্ষ্যা রিসোর্ট। মোটামুটি বাজেটে বেশ কয়েকটি কটেজ সুবিধা এখানে রয়েছে। এই রিসোর্টের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানকার কটেজগুলো পুকুরের ওপর। পুকুররগুলোতে আপনি চাইলে মাছ ধরতে পারবেন এবং সেই মাছ তারা রান্না করে দেবে বা চাইলে আপনি বাসায় নিয়ে আসতে পারবেন।

পূর্বাচল শীতলক্ষ্যা রিসোর্ট। ছবি: পূর্বাচল শীতলক্ষ্যা রিসোর্টের ফেসবুক থেকে নেওয়া

তাছাড়া সম্পূর্ণ রিসোর্টটি ভাড়া নিয়ে যেকোনো পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবেন। এখানে ডে লং এবং নাইট লং প্যাকেজ আছে, আবার ২৪ ঘণ্টার প্যাকেজও রয়েছে। খরচ হবে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। খাবার এই প্যাকেজের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।

সি শেল এমিউজমেন্ট পার্ক ও রিসোর্ট

পূর্বাচলের আরেকটি  স্বল্পমূল্যের এমিউজমেন্ট  পার্ক  ও রিসোর্ট সি শেল। সি শেল পার্কে রাউন্ড বাগান, পিকনিক স্পট, সুইমিং পুল, পার্টি সেন্টার, রিসোর্ট আছে। এন্ট্রি ফি ১০০ টাকা। তবে রাইড, খাওয়া এগুলোর খরচ আলাদা। রয়েছে সুইমিং পুলও। এটি ব্যবহার করতে চাইলে ২০০ টাকা প্রতি ঘণ্টা।

সি শেল এমিউজমেন্ট পার্ক ও রিসোর্ট। ছবি: সি শেল এমিউজমেন্ট পার্ক ও রিসোর্টের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

চাইলে রিসোর্ট বুক করতে পারেন সারাদিনের জন্য কিংবা রাতে থাকার জন্য। এসি/ননএসি রুম ৪ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতিরাত। রাতে থাকার বিভিন্ন প্যাকেজে ৩ বেলা খাবার, রাইড ও সুইমিংপুল ফ্রি থাকে। থাই ,ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, বাংলা সব রকমের খাবার পাবেন তাদের রেস্তোরাঁতে। ফোন: ০১৭৩৩৩১০৬৮২।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

13h ago