চোখ জুড়াবে কুয়াকাটার এই ৫ স্থান

ছবি: কে তানজিল জামান

শহরের জীবনের কোলাহল থেকে বেরিয়ে স্বস্তিদায়ক আর মন-চোখ জুড়ানো গন্তব্য খুঁজছেন? তাহলে কুয়াকাটা ও এর আশেপাশের জায়গাগুলো বেছে নিতে পারেন।

আজকের আলোচনায় কুয়াকাটা ও এর আশেপাশে ঘুরে দেখার মত ৫টি স্থান তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে, যা দর্শনার্থীদের ভ্রমণকে আরও আনন্দঘন করে তুলবে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এই বালুকাময় সৈকত পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এখানে তীরে হাঁটাহাঁটি করে কিংবা স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কেটে ছুটির মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করতে পারবেন।

সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও গভীরভাবে উপভোগ করার জন্য একটি কাঠের লাউঞ্জ চেয়ার ও ছাতা ভাড়া করে বসে কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে লম্বা সময়। উপভোগ করতে পারেন একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত।

ছবি: কে তানজিল জামান

কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান

আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী আর পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হয়ে থাকেন তবে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখতে পারেন। এটি কলাপাড়া উপজেলার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই উদ্যানটি ১৬১৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে অবস্থিত।

এখানে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর।নৌকায় বা পায়ে হেঁটে পার্কটি ঘুরে দেখা যাবে এবং এই জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।

ছবি: কে তানজিল জামান

কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির

এই বৌদ্ধ মন্দিরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম গৌতম বুদ্ধের মূর্তি আছে, যা ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরটি কুয়াকাটার আরেকটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। ৮টি ধাতুর মিশ্রণে তৈরি বৌদ্ধ মূর্তিটির ওজন প্রায় ৩৫০ কেজি।

রাখাইন পল্লী

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রাখাইন পল্লী। মিসরিপাড়া, কেরানীপাড়া এবং আমখোলাপাড়ার মতো গ্রামগুলো নিয়ে রাখাইন পল্লী একটি চমৎকার জায়গা। রাখাইন পল্লীতে বসবাসরত সম্প্রদায়ের অনন্য জীবনধারা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যেকোনো দর্শনার্থীকেই মুগ্ধ করবে।

ছবি: কে তানজিল জামান

বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন শেষে রাখাইন জনগোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী ও হাতে তৈরি কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। আশা করছি, ছোট ছোট এই দোকানগুলো আপনাকে হতাশ করবে না।

আলিপুর বন্দর

মাছ ধরার কার্যক্রম ও মাছ ব্যবসা দেখতে চাইলে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আলিপুর বন্দর ঘুরে আসতে পারেন। আলিপুর বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম মাছ ধরার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে দেখতে পাওয়া যাবে তীরে নোঙর করা শত শত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলার। চাইলে স্বল্পমূল্যে স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার কেনা যাবে।

অনুবাদ করেছেন আসিয়া আফরিন চৌধুরী

Comments

The Daily Star  | English

‘July Warriors' tax-free income limit to be Tk 525,000 from FY27 

The tax-free income limit for war-wounded freedom fighters has been increased to Tk 525,000 from FY27 from Tk 500,000 at present.

1h ago