ভ্রমণে খরচ কমানোর উপায়

ছবি: সংগৃহীত

ছুটির পরিকল্পনা সবসময়ই রোমাঞ্চকর, একইসঙ্গে ব্যয়বহুলও। তবে কিছু বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা করলে ভ্রমণের খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

জেনে নিন ভ্রমণে খরচ কমাবেন কীভাবে-

নির্ধারিত বাজেটের বাইরে যাবেন না

ভ্রমণের পরিকল্পনা শুরুর আগে অপরিহার্য কাজ হলো যতদিন ভ্রমণ হবে ততদিনের খরচের একটি বাজেট তৈরি করা, যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় এড়াতে এবং খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সমস্ত খরচ যেমন- ফ্লাইট, বাসস্থান, খাবার বিল এবং যা কিছু করতে চান সেসব খরচ যাতে বাজেটের হিসাব থেকে বাদ না পরে৷

ভ্রমণের দিনক্ষণ ঠিক করুন চিন্তাভাবনা করে  

সপ্তাহের কোন দিনে এবং বছরের কোন সময়টায় ভ্রমণে যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে এয়ার টিকিটের দাম পরিবর্তিত হয়। ছুটির দিনগুলোয় কিংবা ভরা মৌসুমের সময় ভ্রমণ না করে অন্য সময় করতে পারেন। এতে কমবে ফ্লাইট খরচ, হোটেল খরচ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো অফ-সিজনে ঘুরতে যাওয়া এবং কর্মদিবসের দিনগুলোকে ঘোরার জন্য বাছাই করা।

নিয়ে ফেলুন ঘোরার প্যাকেজ

ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন প্যাকেজ থাকে। ফ্লাইট, থাকার জায়গা এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের খরচ প্যাকেজের সঙ্গেই যুক্ত থাকে বলে অর্থ সাশ্রয় হয়। এ প্যাকেজগুলোতে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট এবং বিশেষ অফার অন্তর্ভুক্ত থাকে, যার ফলে আলাদা আলাদা বুকিংয়ের খরচ সাশ্রয় হয়।

ব্যবহার করুন রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম

ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করা যায়। ভ্রমণে সেটি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এ ছাড়াও ভ্রমণে টাকা বাঁচাতে হোটেল ও এয়ারলাইন লয়ালিটি প্রোগ্রামগুলোতে সাইন আপ করে রাখলে পুরস্কার আর বাড়তি সুবিধার বিষয়গুলোও জানতে পারবেন।

বিনামূল্যে কী করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা

গন্তব্য যা-ই হোক,অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেক বিনামূল্যে বা কম খরচে করার মতো কিছু কার্যক্রম থাকে। যেমন যাদুঘরে যাওয়া বা স্থানীয় পার্ক পরিদর্শন করা। যাওয়ার আগে এগুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করুন এবং ভ্রমণ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে অর্থ সাশ্রয় করুন।

গণপরিবহন ব্যবহার করুন

অপরিচিত এলাকায় ভ্রমণে গাড়ি ভাড়া নিয়ে নেওয়াটা ব্যয়বহুল। তার পরিবর্তে ঘুরে বেড়ানোর জন্য গণপরিবহন যেমন বাস বা ট্রেন ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন। এটি কেবল অর্থ সাশ্রয়ই করবে না, স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানাবে।

স্থানীয় খাবার খান

ভ্রমণে খাওয়ার পেছনে বেশ খরচ হয়। তবে স্থানীয় খাবার অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করবে। এ ছাড়া, যেখানে ভ্রমণ করছেন সেখানকার সংস্কৃতিকেও নিজের মধ্যে কিছুটা ধারণ করার প্রচেষ্টা এটি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় খাবার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি ভ্রমণকারীকে সেই অঞ্চলের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের স্বাদ দেয়।

অফ-সিজনের ভ্রমণে মানুষ কম থাকে বলে খরচও কমে যায়। মনে রাখবেন, ভরা মৌসুমেই ছুটি কাটাতে হবে এমনটা নয়, মূল বিষয় হলো ঘুরতে যাওয়া এবং আনন্দ করা।

অনুবাদ করেছেন তানজিনা আলম

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

5h ago