খাবার টেবিলে থাকুক বৈশাখী আমেজ

ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

আসছে পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের নতুন দিনটি বরণ করে নেওয়ার জন্য বাঙালির ঘরে ঘরে থাকে বৈশাখী আয়োজন। এবার রোজা ও পহেলা বৈশাখ একই সময়ে হওয়ার কারণে গতানুগতিক আয়োজন খানিকটা কম। তাই ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে বৈশাখী আমেজ।

বৈশাখে খাবার টেবিল কীভাবে সাজিয়ে তুলবেন, তা নিয়ে আজকে থাকছে কিছু টিপস।

পহেলা বৈশাখের সজ্জা মানে সবকিছুতেই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। খাবার টেবিলে তার ধারাবাহিকতা থাকবে তা বলা বাহুল্য।

বাসন-কোসন

দুপুরের কিংবা রাতের খাবার—যে সময়ই পান্তা, ইলিশ খাবারের আয়োজন হোক না কেন, টেবিল সাজাতে বাঙালিয়ানা জিনিসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। মাটির তৈরি থালা-বাটি বৈশাখে খাবার পরিবেশনের জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত। ভিন্নধর্মী কিছু চাইলে কাঁসার বাটি, থালা, গ্লাস ব্যবহার করে টেবিলে আভিজাত্য আনা যেতে পারে। তাছাড়া জামদানি বা টেরাকোটা প্রিন্টের সিরামিকের প্লেট-গ্লাস দিয়ে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে বৈশাখের ভোজন টেবিল।

টেবিলের আনুষঙ্গিক সজ্জা

টেবিলে বেছে নেওয়া যেতে পারে পাটের রানার, পাটের টেবিল ম্যাট, পাটের কোস্টার আর পাশে হাতের কাজের নকশা তোলা ন্যাপকিন। বৈশাখ মানে রঙ্গিন, তাই টেবিল সজ্জার অনুষঙ্গের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন হলুদ,ম্যাজেন্টা, লাল, সবুজের মতো উজ্জ্বল রংগুলো। চেয়ারগুলোতে কুশন ব্যবহার করলে ফ্লোরাল বা ইক্কত প্রিন্টের কুশন কভার ব্যবহার করলে বেশ ভালো লাগবে। টেবিলে রাখা যেতে পারে ফুলদানি, সেখানে আসল ফুলের পাশাপাশি কৃত্রিম ফুল দিয়েও শোভা বৃদ্ধির করা যেতে পারে। ছোট গাছ কিংবা সাকুলেন্ট দিয়েও টেবিলে সজীবতা আনা যায়।

ভোজন আয়োজন

বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ। তবে ইলিশ খিচুড়িও বৈশাখের ভোজন আয়োজনে যোগ করতে পারে ভিন্ন মাত্রা। আর কয়েক পদের ভর্তা-ভাজা ছাড়া কি বৈশাখী ভোজ সম্পন্ন হয়!

খাবার টেবিলে গ্রামবাংলার ছোঁয়া আনতে মণ্ডা-মিঠাই, কদমা, বাতাসা মুরলি, নিমকি দিয়ে সার্ভিং ট্রে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যদি স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা চিন্তা করেন কিংবা পরিবারের বয়স্ক কেউ থাকলে দই, চিড়া, খই, মুড়ি আর ফল দিয়েই করতে পারেন ভোজের আয়োজন। আর হাতে সময় থাকলে পিঠাপুলি আর মোয়া আয়োজনে রাখতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

Israel says truce with Hamas begins, after delay

During the delay, Gaza's civil defence agency said Israeli strikes killed eight people.

3h ago