নতুন বছর আরও সুন্দর করতে পারেন যেভাবে

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে নতুন বছর উদযাপন। এএফপি ফাইল ছবি

১ বছর আগে আপনি যা বা যেমন ছিলেন, এখন আর তা নন। অভিজ্ঞতা, সময়, চর্চা, প্রিয়জন, বন্ধু সবই ভূমিকা রাখে এই পরিবর্তনে। সাফল্য, ব্যর্থতা যা-ই এ বছর বেশি থাকুক না কেন, সামনের বছরে জীবনে আসুক আরও ইতিবাচক পরিবর্তন, জীবন হোক আরও সুন্দর। এ প্রত্যাশায় নতুন বছরে শুরু করতে পারেন এই চর্চাগুলো-

• নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। আপনি নিজেকে যতটা শক্ত মনে করেন, আপনার ক্ষমতা তার থেকে অনেক বেশি এবং আপনার জীবনের ওপর সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণও আপনার। এই বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারলে অনিশ্চয়তাকে অনেকাংশেই জয় করা সম্ভব।

• অন্যের ভালো কাজে অভিনন্দন জানান। তাদের প্রশংসা করুন। এতে করে আশেপাশের মানুষের মাঝে আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে।

• প্রতিদিন আপনি কারো না কারো কাছে কৃতজ্ঞ থাকেন, একদমই অপ্রত্যাশিত কারো থেকে কোনো সুন্দর আচরণ পান। ব্যস্ততার জন্য এগুলো ভুলে যাওয়া হয়। তাই ছোট করে এসব ঘটনা লিখে রাখুন চার্টের মতো। তাহলে বুঝতে পারবেন প্রতিদিন জীবনে কতগুলো সুন্দর ঘটনা ঘটেছে। জীবনের কষ্টের, ভুলের, অন্যায়ের বিষয়গুলো মনে পড়লেই এই আনন্দের ঘটনাগুলো দেখবেন।

• কমফোর্ট জোন থেকে বের হবেন কখনো কখনো। কোনো দাওয়াত বা পার্টিতে হোস্ট ছাড়া পরিচিত কেউ না গেলে বা বন্ধুরা ক্যান্সেল করলে সেটা নিয়ে বিচলিত হবেন না। যার পার্টি তার মুহূর্তগুলোতে ফোকাস করুন এবং নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন।

• ইতিবাচক চিন্তা জীবনকে সহজ করে, নিজের মতো করে বাঁচতে শেখায়। পছন্দের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। বছরে অন্তত ২ বার কাছে কিংবা দূরে বেড়াতে যান। বেড়াতে যাওয়া সম্ভব না হলে মাঝেমাঝে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে পিকনিক কিংবা ডে-ট্রিপে যেতে পারেন।

• কাজ আর সংসার বাদে নিজের আলাদা একটা জগত থাকাও একান্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যা করতে ভালবাসেন সেটাই করুন। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় দিন নিজেকে। এই সময়টা একান্তই আপনার। চারপাশের পৃথিবী তখন আপনার কাছে অস্তিত্বহীন। শপিং, মেক-আপ, নাচ, গান শোনা, রান্না, পছন্দের খাবার খাওয়া- যা পছন্দ তাই করুন। প্রতিদিন শপিং করা যেহেতু সম্ভব নয়, মাঝেমাঝে উইন্ডো শপিংই করুন। এতেও স্ট্রেস কমবে। মোট কথা, নিজের সঙ্গে সময় কাটান।

• স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই জরুরি। শরীর সুস্থ থাকলে এমনিই মনে প্রভাব পড়ে। মন ভাল থাকলে পৃথিবীও সুন্দর মনে হয়।

• ইতিবাচক থাকার একটি উপায় হলো অন্যকে ইতিবাচক থাকতে শেখানো। চারপাশের কাউকে হতাশায় ভুগতে দেখলে তার সঙ্গে কথা বলুন, ভরসা দিন, মন দিয়ে কথা শুনুন। তাকে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করুন।

• ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সবারই সময়ের খুব অভাব। তবুও একটু ধীরে সুস্থে কাজ করুন। প্রাথমিক কাজ- যেমন খাওয়া, কথা বলা, চলাফেরা ইত্যাদি একটু ধীরে করুন। এতে মন অনেক বেশি শান্ত থাকবে, স্ট্রেস কমবে।

• জীবন মানেই কখনো ভালো, কখনো খারাপ, পরবর্তী ধাপে কীভাবে উন্নতি করতে হয় তা শেখার সুযোগ। সব খারাপের মধ্যেও কোনো ভালো শিক্ষা থাকে। সেই ভালোটা খুঁজে বের করতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করুন, ভুলটা কেন হলো? কী করলে এমন আর হবে না? বা এই ভুল থেকে কী শিখলেন? এতে নিজের সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেও সুবিধা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

8h ago