রমজানে অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলবেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত

রমজান নাস শুধু সংযম আর আত্মশুদ্ধির মাসই নয়, এটি মন ও শরীরকে সতেজও করে তুলতে পারে। তবে এই মাসে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে ওঠার আশঙ্কাও কম নয়। এটা সত্যি, সারাদিন রোজা থাকার পর গরম গরম জিলাপি আর মচমচে বেগুনি খাওয়ার লোভ সামলানো বেশ কঠিন! 

কিন্তু এই লোভ সংবরণ করতে না পারলে আপনার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মত ক্ষতিকর অভ্যাস তৈরি হতে পারে। এসব অভ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা, ঝিমুনি ভাব, গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধার সৃষ্টি হবে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

চলুন জেনে নিই রমজানে অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলার কিছু টিপস-

সেহরি মিস করবেন না

সেহরির খাবার সাধারণত রাতের শেষভাগে খাওয়া হয়। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। যার ফলে ইফতারে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কিছুটা হলেও কমে। সেহরিতে মাংস বা মসুর ডালের মতো প্রোটিন এবং মটরশুঁটির মতো বেশি কার্বোহাইড্রেটসম্পন্ন খাবার খান। এই খাবারগুলো আপনাকে সারাদিন শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। খাওয়া শেষে তাজা ফলের জুস খান বা ডেজার্ট হিসাবে ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

পরিমাণমতো খান

সেহরিতে যখনই আপনি ফজরের আযান শুনতে পান, আপনি চান অত্যাধিক খাবার দিয়ে পাকস্থলী পূর্ণ করে ফেলতে। যাতে সহজে দূর্বল হয়ে না পড়েন। কিন্তু এর বদলে প্লেটে পরিমাণমতো খাবার নিন এবং ধীরে-সুস্থে চিবিয়ে খান। জেনে অবাক হবেন, প্রত্যাশার চেয়েও অনেক কম খাবারে আপনার পাকস্থলী সন্তুষ্ট থাকে। এভাবে খেলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা কমে।

বাড়িতে ইফতার করুন

যখন আপনার প্রিয় রেস্টুরেন্টগুলো সীমাহীন অফার এবং জিভে জল আনার মত প্ল্যাটার দিয়ে ইফতার করার বিজ্ঞাপন দেয়, তখন ইফতার ঘরের বাইরে করার লোভ সংবরণ করা কঠিনই বটে। কিন্তু এই খাবারগুলো কেবল ভারী খাবারই নয়, এগুলো খুব তৈলাক্ত এবং অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এর বদলে ইফতারের জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবার বেছে নিন।

অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আগে থেকে ইফতারে কী খাবেন তা ঠিক করে রাখা। খেজুরের মতো হালকা কিছু দিয়ে ইফতার খাওয়া শুরু করুন। বেশি করে পানি খান। হাইড্রেটেড থাকার জন্য খাবারের তালিকায় দুধ বা মিল্কশেক রাখতে পারেন।

অনুবাদ করেছেন ফাবিহা বিনতে হক

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago