রেট্রো ফ্যাশনে বেঁচে থাকুক নস্টালজিয়া
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/07/26/capture.jpg?itok=7OGgi83h×tamp=1690379268)
স্টাইলিং হলো নিজের ব্যক্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্যকে জাগিয়ে তোলা। বিশ্বের সব ফ্যাশন অতীতের ফ্যাশন থেকে অনুপ্রাণিত, এটি যেকোনো ফ্যাশন ডিজাইনারই স্বীকার করবেন। সব ফ্যাশনের বারবার পুনরাবৃত্তি হয়। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, রেট্রো ফ্যাশন এখনো বেশ আধুনিক। এটি পুরোনো হয়েও নতুন এবং কখনোই হারিয়ে যায়নি।
করোনা মহামারির সময় কোভিডের ভয়াবহ রূপ দেখে আমরা ভেবেছিলাম সামনে ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই, সুদিন কখনো ফিরবে না। আমরা অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম, মানবতা ধ্বংসের মুখে, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
দিনের পর দিন গৃহবন্দী থাকার সময়টায় মৃত্যুভয় আর রোগে শোকে কাতর হয়ে আমরা অতীতের সুন্দর রোগমুক্ত দিনগুলোর কথা মনে করতাম। এসব স্মৃতি আমাদের মনে আশা জাগিয়ে তুলত যে, হয়তো সামনে ভালো দিন আসতেও পারে। সেই সময়টায় বাবা-মা বা পরিবারের বড়দের সাদা-কালো ছবি আমাদের সুদূর অতীতে নিয়ে যায়। বড় আকৃতির সানগ্লাস, বেল বটম, ফুটলুজ আর কাফতান পরা তাদের ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায়, কতটা স্বাধীন ছিলেন তারা! লকডাউনের দিনে তাদের সেই স্বাধীনতা কিছুটা ঈর্ষান্বিতও করত আমাদের।
৬০ ও ৭০ দশকে হিপি সংস্কৃতির জাগরণ আমাদের বুঝিয়ে দেয়, ফ্যাশনের বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নেই। ফ্যাশন সবসময় একটি সময়ের, একটি সমাজের মানসিকতার প্রতিফলন। তাই করোনার ভয়াবহতা আমাদের শিখিয়েছে, অতীতকে সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করে নিতে।
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/07/26/y5y.jpg?itok=7VLlBpcv×tamp=1690379433)
যারা রেট্রো ফ্যাশনের ভক্ত, তাদের কাছে নিজেকে সাজিয়ে তোলার অনেক উপায় হাতে থাকে৷ যেমন- রেট্রো লুক আনতে গরমে পরার জন্য বেলবটম বেশ আরামদায়ক। ঢিলেঢালা ছোট সাইজের কুর্তার সঙ্গে বেলবটম পড়ে আপনি যেকোনো জায়গায় স্বচ্ছন্দে যেতে পারবেন। তা হোক ক্লাস, মিটিং কিংবা জরুরি কোনো কাজ। রাতের বেলা পরার জন্য বেছে নিন কালো বেল বটমের সঙ্গে সিকুইন্ড গোলাপি বা কমলা রঙের ব্লাউজ বা টপ, যা আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও সুন্দর।
কাফতানের আবেদন বরাবরই অন্যরকম। ২০২৩ সালে এসেও কাফতানের জনপ্রিয়তা কমেনি কিছু। যেকোনো সময়, দিন বা রাতে, অফিস কিংবা পার্টিতে আপনি কাফতান পরতে পারেন। কারণ এই পোশাকের একটি নিজস্বতা আর সৌন্দর্য আছে।
রেট্রো লুক আনতে দিনের বেলায় পরার জন্য সুতির কাপড়ই ভালো আর রাতের জন্য বেছে নিতে পারেন শিফন, জর্জেট, মখমল বা সিল্কের কাপড়। ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন সানগ্লাস, হুপ কানের দুল, মোটা বালা পরতে পারেন, গলায় জড়াতে পারেন রঙিন স্কার্ফ। রেট্রো ফ্যাশনকে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে এসব ফ্যাশন অনুষঙ্গ বেশ কাজে দেয়। আপনার সাজে রেট্রো ভাইব ফুটিয়ে তুলতে কাফতানের সঙ্গে চুলে জড়াতে পারেন মেটালিক টার্বান।
রেট্রো শাড়ি যতটা প্রশংসা ও ভালবাসার দাবিদার, ততটা তা পায় না। অথচ ডিম্পল কাপাডিয়া ও পারভীন ববির মতো বলিউড তারকারা বলপ্রিন্ট ও ঝলমলে বোল্ড প্রিন্টের শাড়িতে সত্তরের দশকে মাতিয়েছিলেন রূপালি পর্দা।
২০২৩ সালে আবার নিজেকে সাজিয়ে তুলুন ছোট ছোট বল প্রিন্টের ককটেল শাড়ি অথবা ঝলমলে সিকুইন্ড ড্রেসে। সাজকে পরিপূর্ণ করতে হালকা কোঁকড়ানো চুলের সঙ্গে গ্লসি সফট মেকাপ করে নিন। তবে এই সাজসজ্জার সঙ্গে নিজের পছন্দ আর শৌখিনতাকে ফুটিয়ে তুলতে ভুলবেন না।
অনুবাদ করেছেন ফাবিহা বিনতে হক
Comments