গরমে কেমন হবে ঈদের সকাল, দুপুর, রাতের সাজ
ঈদের দিন কোন সময় কী পরবেন, কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন তা নিয়ে ভাবছেন? তাহলে পড়ে নিন এই লেখাটি। আগে থেকেই ছোটখাটো প্রস্তুতি থাকলে ঈদের নানা ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে পরিপাটি করে সাজিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
ঈদের দিনের পুরো আনন্দ উপভোগ করতে সকাল, দুপুর, রাত - এই ৩ সময়েই সাজসজ্জায় রাখুন ভিন্ন আয়োজন। এজন্য কিছু কাজ করে রাখতে হবে আগেই। মুখের ধরন বুঝে বাড়িতেই ফেসপ্যাক লাগিয়ে ফেলতে পারেন৷ প্রয়োজনে ঈদের কয়েকদিন আগেই পার্লার থেকে ফেসিয়াল, চুলে নতুন হেয়ারকাট, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ভ্রু প্লাক, হেয়ার ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি করে ফেলুন। ঈদের সময় এমনিতেই ব্যস্ত সময় কাটে, তার মধ্যেও নিজেকে স্নিগ্ধ ও সুন্দর করে রাখতে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।
ঈদের সকাল
ঈদের দিন একটু আরামদায়ক পোশাকই কাজের সময় স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। সকালে যেহেতু সবাই কর্মব্যস্ত সময় কাটান, তাই এ সময় বেছে নিন পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক। সুতির কাপড়ে সবচেয়ে বেশি আরাম। পোশাক হিসেবে পরা যায় সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, টপস ইত্যাদি।
রেড বিউটি স্যালুনের সত্ত্বাধিকারী আফরোজা পারভীন জানান, 'ঈদের দিন অধিকাংশ মানুষই নিজের মতো করেই সাজতে পছন্দ করেন। তবে এবারে ঈদের সাজে গ্লসি সাজটাই বেশি চলবে। আর চোখেও প্রাধান্য পাবে ন্যুড গ্লিটারি সাজ। ঈদের দিন সকালে একটি সতেজ লুকের প্রয়োজন হয়। এজন্য হালকা সাজ ভালো লাগে। খোলা চুলে, ন্যাচারাল বা হালকা শেডের লিপস্টিকেই বেশি ভালো মানায়। চোখে আইলাইনার টেনে মাশকারা দিয়ে নিলে বোল্ড আইলুকে এমনিই স্নিগ্ধতা প্রকাশ পাবে। সঙ্গে থাকতে পারে হালকা রঙের ব্লাশের ছোঁয়া।'
রোদের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেই সূর্যের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন দিয়ে নিন।
দিনের মেকআপ যেমনই হোক, লম্বা সময় সাজ ধরে রাখতে সেটিং স্প্রে দিতে ভুল করা যাবে না। শাড়ি পরলে কপালে ছোট টিপও দিতে পারেন।
ঈদের দুপুর
দুপুর গড়িয়ে এলেই পোশাকের সঙ্গে মেকআপ ও রিটাচ করে নিতে পারেন। লিপস্টিকেও পিংক টোন বদলে আনা যায় ব্রাউন কোনো শেড। আইলাইনারের সঙ্গে কাজল দিয়ে চোখের সাজ আরেকটু পূর্ণ করে নেওয়া যায়। চুলে মেসি বান, টুইস্ট, সাইড বান, ডোনাট বান বা যেকোনো খোঁপা করে নিতে পারেন। ছোট এবং সোজা চুল হলে সামনে একটু বেণী করেও আটকে দেওয়া যায়। প্রশান্তি দেবে বড় চুলে খোঁপায় তাজা কোনো ফুল।
ঈদের বিকেল ও রাত
রান্নার পর্ব শেষে বিকেলে পোশাক বদলে একটু মেকআপ রিটাচ করে ফেলুন। চুলটা কার্ল করে নতুন পোশাক পরলে আউটলুক এমনিতেই বদলে যায়। গাউনের সঙ্গে চুলে আনতে পারেন রেট্রো লুক। সন্ধ্যার পর সাজে শাইনি লুক চাইলে শিমার ব্যবহার করা যায়। আর দিনের অন্য ২ বেলার সাজের সঙ্গে রাতের সাজে পার্থক্য রাখতে চোখে স্মোকি টোন আনতে পারেন বা ডার্ক আইলুক করতে পারেন। কার্ল করা চুল আর ভারী গয়নার সাজে ফুটিয়ে তুলতে পারেন আভিজাত্য।
চোখের নিচের পাশ দিয়ে কালো, বাদামি, গাঢ় রঙের আইশ্যাডো দিতে পারেন। আর চোখের নিচে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কাজল। চোখের ওপর আইলাইনার লাগিয়ে দিন। রাতের সাজে ভালো লাগে গাঢ় লিপস্টিক আর স্মোকি আই। তাই রাতে রাখুন মেরুন, বারগেন্ডি, ওয়াইন ইত্যাদি গাঢ় রঙের লিপস্টিক।
রাতে চোখের সাজ হালকা হলে ঠোঁট গাঢ় রঙে সাজাতে পারেন। না হয় দেখতে ফ্যাকাশে লাগে। গাঢ় লিপস্টিক না চাইলে পছন্দের হালকা শেডের লিপস্টিকের সঙ্গে লিপগ্লস লাগিয়ে নিন। স্টিলেটো, পারফিউম আর গয়না পরলেই আপনি প্রস্তুত রাতের দাওয়াত অনুষ্ঠানের জন্য।
সাজপোশাক ব্যাপারটি মেয়েদের জন্য বিস্তৃত পরিসরে থাকলেও ছেলেদের জন্য সেভাবে নেই। ঈদের দিন সকালে ছেলেরা সাধারণত পাঞ্জাবিই পরেন। বিকেলে বা রাতে কেউ পাঞ্জাবি, কেউ বা শার্ট, টি-শার্ট-প্যান্টেও সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ছেলেদের সাজে চুল আর দাড়ির স্টাইলই প্রাধান্য পায়। শেষ সময়ের জন্য না রেখে এখনই চুল এবং দাড়ির কাট দিয়ে ফেলুন। বয়স, পেশা, মুখের আকৃতি, চুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে চুল এবং দাড়ির প্যাটার্ন বাছাই করুন।
সানগ্লাস, বেল্ট, মানিব্যাগ, আতরসহ প্রয়োজনীয় জিনিস ঈদের ২ দিন আগেই গুছিয়ে ফেলতে পারেন।
Comments