রঙিন চুলে যা করবেন, যা করবেন না

ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

চুলে রং করা একটি জনপ্রিয় সৌন্দর্যচর্চা, যা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এটি চেহারায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, যা আপনাকে করে তুলতে পারে আরও আত্মবিশ্বাসী ও স্টাইলিশ। তবে রঙিন চুল অনেক বেশি যত্নে রাখা প্রয়োজন। আপনার চুলের রং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে চুল রং করার সময় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।

করণীয়

প্রথম ধোয়া দেরি করে করুন

হাইলাইট, ডিপ-ডাই, ফুল কালার বা আন্ডার লাইট—যাই হোক না কেন, যতটা সম্ভব আপনার চুল কালার করার পর প্রথম ধোয়ার জন্য অন্তত ২ দিন সময় নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এর কারণ হলো—রং করার পরে চুলগুলো অনেক বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং সেক্ষেত্রে ধোয়ার পরে চুলের রং অনেক দ্রুত হালকা হতে শুরু করে।

চুলের মাস্ক

রং করার আগে চুলের অতিরিক্ত যত্ন প্রয়োজন। একটি ভালো হেয়ার মাস্ক চুলকে শক্তিশালী করে। ফলে আমাদের চুল রংকে আরও ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। মাস্ক ব্যবহারের সুফল হচ্ছে—রং করার পরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও কোমল চুল পাওয়া যায়।

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা

ত্বকের মতো রঙিন চুলও প্রখর রোদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে রং দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চুল অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করার জন্য টুপি বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, এতে চুলের রং দ্রুত বিবর্ণ হবে না।

ঠান্ডা পানি ও কালার চুলের ড্রাই শ্যাম্পু

চুল ধোয়ার জন্য গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের গোঁড়ার ছিদ্রগুলো খুলে গিয়ে চুলের প্রাকৃতিক তেল ও রং নষ্ট করতে পারে। চুলের চকচকে ভাব ও মজবুত রাখতে ঠান্ডা পানি নিয়ে শ্যাম্পু করুন। রঙিন চুল বেশি না ধোয়াই ভালো এবং কালার উপযুক্ত ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।

বর্জনীয় 

কন্ডিশনিং না করলে

রং করলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ময়েশ্চার লক করতে, রুক্ষতা রোধে ও ঝলমলে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চুলে তাপ দেওয়ার সরঞ্জাম

চুলের রং ও স্টাইলিং পণ্যগুলো চুলের জন্য রূঢ় এবং এতে চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাপ (হিট) দেওয়ার সরঞ্জাম যেমন: ব্লো ড্রায়ার ও স্ট্রেইটেনিং আয়রনের ব্যবহার চুলের ক্ষতি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যদি তাপ প্রোটেকটর ছাড়া এগুলো ব্যবহার করা হয়। এই সরঞ্জামগুলো ৪০০ ডিগ্রিতে ব্যবহার করা হয়, যা চুলের রংকে হালকা করে ফেলতে পারে।

ক্লোরিন পানি

চুলের রং রাসায়নিক দ্রবণ। তাই এটি ক্লোরিনের সংস্পর্শে গেলে বিক্রিয়া করে। এই ক্লোরিন বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যায়, যেমন: সুইমিং পুলের পানি। পুলের পানিতে নিয়মিত চুল ভেজালে চুলের ক্ষতি হতে পারে, চুল হয়ে ওঠে শুষ্ক ও বিবর্ণ।

হেয়ার প্রোডাক্ট ও স্ক্রাবিং

হেয়ার প্রোডাক্টের যেগুলো লবণ, সালফেট ও ডিটারজেন্টযুক্ত, সেগুলো চুলের ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে রং করার পরে। তাই রং করা চুলে প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করাই ভালো। একইভাবে যদি চুলের রং ধরে রাখতে চান, তবে রং করা চুল কখনই রূঢ়ভাবে আঁচড়ানো উচিত নয়। ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে ঘষার পরিবর্তে মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে মুছে নিয়ে বাতাসে শুকানো উচিত।

অনুবাদ করেছেন সাইমা তাবাসসুম উপমা

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

Sources from the CA office confirmed that the meeting will take place at the State Guest House, Jamuna

50m ago