‘আমি কী করব তা কেউ জানে না’

হোয়াইট হাউসের চত্বরে ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
হোয়াইট হাউসের চত্বরে ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

সপ্তম দিনে পা দিয়েছে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ। অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ছাপিয়ে অনেকের মনে জেগেছে এই প্রশ্ন—এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী? অথবা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন কী করবেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সবাইকে ধোঁয়াশায় রেখেছেন। স্পষ্ট করে জানাননি তিনি কী ভাবছেন। উল্টো দিচ্ছেন মিশ্র ইঙ্গিত।

গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের চত্বরে দুইটি পতাকাদণ্ড বসিয়ে কর্মদিবস শুরু করেন ট্রাম্প।

সে সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। 'ইরানের পরমাণু অবকাঠামোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কিনা?' এমন প্রশ্নের জবাব ট্রাম্প বলেন, 'আমি এমন কিছু আদৌ করব কিনা, তা আপনারা জানেন না।'

'আমি তা করতে পারি। আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব। আমি এটুকু বলতে পারি: ইরান অনেক বড় বিপদে আছে। তারা দরকষাকষি করতে চায়।'

হোয়াইট হাউসের চত্বরে দুইটি পতাকাদণ্ড বসিয়েছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
হোয়াইট হাউসের চত্বরে দুইটি পতাকাদণ্ড বসিয়েছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

পরে ওভাল অফিসে ইতালির জুভেন্টাস ফুটবল দলের সঙ্গে ছবির জন্য পোজ দেন ট্রাম্প। সে সময় তিনি জানান যে ইরান প্রসঙ্গে এখনো মনস্থির করতে পারেননি।

ট্রাম্প আরও বলেন, 'কী করা উচিত, তা নিয়ে আমার চিন্তা আছে। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত করিনি।'

তার ভাষ্য, 'আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা ফুরিয়ে যাওয়ার ঠিক এক সেকেন্ড আগে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি? কারণ সবকিছুই বদলাতে থাকে, বিশে করে, যুদ্ধক্ষেত্রে। যুদ্ধে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন আসে। চরম পরিস্থিতি থেকে আরও চরম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।'

সার্বিকভাবে, মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিশালী দেশের সংঘাতে ওয়াশিংটন সরাসরি যুক্ত হবে কিনা, তা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা থেকে গেছে তা কবে দূর হবে সে জবাব ভবিষ্যতের হাতেই থাকলো।

 

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

4h ago