অবিস্ফোরিত বোমায় হতাহতের ঝুঁকিতে সিরিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ

সিরিয়ার দেরা শহরে রয়ে যাওয়া অবিস্ফোরিত ক্লাস্টার বোমা অপসারণের করার কাজ চলছে। ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর দেশজুড়ে অবিস্ফোরিত বোমায় আহত বা নিহতের ঝুঁকিতে আছেন সিরিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ।

ইউরোপ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশনের (এইচআই) বরাত দিয়ে এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি।

এইচআইয়ের সিরিয়া কর্মসূচির পরিচালক দানিলা জিজি বলেন, 'এটি একটি চরম বিপর্যয়। এই দেশের দুই কোটি ০ লাখ কোটি মানুষের মধ্যে দেড় কোটিই এখন এই ঝুঁকির মধ্যে আছেন।'  

বোমা সন্দেহে একটি এলাকা ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

২০১১ সালে সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ।

এইচআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ চলাকালে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রায় দশ লাখ গোলাবারুদ ফেলা হয়েছে বা বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে, যার মধ্যে এক থেকে তিন লাখ এখনো অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়ে গেছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর অনেক সিরীয় শরণার্থী দেশে ফিরছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১০ লাখেরও বেশি সিরীয় ইতোমধ্যে তাদের ঘর-বাড়িতে ফিরেছেন, যার মধ্যে দুই লাখ ৮০ হাজার বিদেশ থেকে ফিরেছেন।

এই জনগোষ্ঠীর জন্য 'দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন' বলে মন্তব্য করেছে এইচআই।

গৃহযুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষের ব্যবহৃত গোলাবারুদের পাশাপাশি আসাদ সরকার হেলিকপ্টার থেকে ব্যারেল বোমা ফেলেছে।

দানিলা জিজি জানান, ব্যারেল বোমার বিস্ফোরণ হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় অনেক বোমাই অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে।

এছাড়া, ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতনের আগে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি সিরিয়ায় প্রচুর বিস্ফোরক ও বোমা রেখে গেছে, যেগুলো এখনো চিহ্নিত বা অপসারিত হয়নি।

এইচআই জানায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই ১২৫টি অবিস্ফোরিত বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, যাতে অন্তত ৮৫ জন নিহত ও  ১৫২ জন আহত হয়েছেন।

এই হতাহতদের মধ্যে মাঠে কাজ করা কৃষক ও মাঠে খেলাধুলা করা শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

Comments

The Daily Star  | English
US airstrike on Iran

Strikes on Iran mark Trump's biggest, and riskiest, foreign policy gamble

The dramatic US strike, including the targeting of Iran’s most heavily fortified nuclear installation deep underground, marks the biggest foreign policy gamble of Trump’s two presidencies and one fraught with risks and unknowns.

1h ago