বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে ডব্লিউএইচও-এর ভূমিকার কট্টর সমালোচক ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সোমবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে বলেছেন, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য আমাদের ঠকিয়েছে।'

এক প্রতিবেদনে এএফপি জানায়, একক দেশ হিসেবে ডব্লিউএইচও-এর সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা বন্ধ হয়ে গেলে ডব্লিউএইচও-তে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে সীমিত হয়ে যেতে পারে সংস্থাটির কার্যক্রম।

ডব্লিউএইচওকে বছরে আনুমানিক ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা আগেও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে তিনি ডব্লিউএইচওর ওপর চীনের প্রভাব থাকার অভিযোগ তুলে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে।

নতুন নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প তার দেশের সরকারি সংস্থাগুলোকে ডব্লিউএইচও-কে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অর্থ, সহায়তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেনের ২০২৪ সালের গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি স্ট্রাটেজি পর্যালোচনা করে তা বাতিল করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে। সংক্রামক রোগের হুমকি প্রতিরোধ, শনাক্ত ও মোকাবিলার জন্য এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যাহারের ঘোষণা এমন সময় এলো যখন বার্ড ফ্লু (এইচ৫এন১) মহামারির আশঙ্কা বাড়ছে। এই ভাইরাস ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে এবং তাদের অধ্যে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ডব্লিউএইচও-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০২১ সালের শেষ থেকে মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। এবার সেই আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই এগোবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Teacher candidates: Water cannons, batons used to disperse protesters

Despite police action, many protesters gathered near the High Court around 4:35pm

21m ago