চীনে সহপাঠীকে হত্যায় ২ কিশোরের কারাদণ্ড

ছবি: এএফপি

১৩ বছর বয়সী দুই কিশোর। পরিকল্পনা করে তাদের এক সহপাঠীকে খুন করে তার অর্থ দুজন মিলে ভাগাভাগি করে নেয়।

গত মার্চে চীনে ঘটা এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে অপরাধী দুই কিশোরের একজনকে যাবজ্জীবন, আরেকজনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দুই অপরাধীকে তাদের ডাকনাম ঝাং ও লি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে আদালত ও চীনা গণমাধ্যম। তাদের নিহত সহপাঠীর নাম ওয়াং।

আদালতের বিবৃতি অনুসারে, ঝাং ও লি শাবল দিয়ে আঘাত করে ওয়াংকে হত্যা করে একটি পরিত্যক্ত গ্রিনহাউজে সমাহিত করে। এই হত্যাকাণ্ডের পদ্ধতিকে 'অত্যন্ত নিষ্ঠুর' বলে অভিহিত করেছেন আদালত।

মার্চে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তা চীনা জনগণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। নিহত ওয়াং দীর্ঘদিন ধরে তিন সহপাঠীর নিপীড়নের শিকার হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।

সোমবার আদালতের পক্ষ থেকেও বলা হয়, ঝাং এবং লির সঙ্গে ওয়াংয়ের আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল।

অপরাধের বিবরণ

৩ মার্চ একটি স্কুটারে করে ওয়াংকে গ্রিনহাউজে নিয়ে যায় ঝাং। সেখানে একটি পৃথক স্কুটারে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় লি এবং 'মা' নামের আরেক কিশোর। পথে ওয়াংকে খুন করার পরিকল্পনার কথা মাকে জানায় লি।

গ্রিনহাউজে পৌঁছানোর পর ঝাং শাবল দিয়ে ওয়াংকে আঘাত করতে শুরু করে এবং লি তাকে সাহায্য করে। এসব দেখে মা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

হত্যার পর সেখানেই ওয়াংকে কবর দেয় ঝাং এবং লি। পরে ওয়াংয়ের ফোন নিয়ে তার উইচ্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করে। তবে ওয়াংয়ের সিম কার্ড চুরি করে সেটি নষ্ট করার জন্য মাকে বলে ঝাং।

হত্যার পরিকল্পনা ও অন্যদের এতে যুক্ত করার দায়ে ঝাংকে প্রধান অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে আদালত। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। লি সক্রিয়ভাবে এই অপরাধে অংশগ্রহণ করেছে এবং অর্থের ভাগ নিয়েছে। তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও সরাসরি অপরাধে অংশ না নেওয়ায় মাকে কোনো অপরাধমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে তাকে সংশোধনমূলক শিক্ষা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago