নতুন পাসপোর্ট পেতে সবচেয়ে বেশি খরচ যে দেশে
প্রায় প্রতিটি স্বাধীন দেশের নাগরিকদের অন্যতম চাহিদার বিষয় হলো একটি পাসপোর্ট। বৈধ উপায়ে দেশের বাইরে যাওয়াসহ আরও অনেক কাজে পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে, বিশ্বের সব দেশের মধ্যে নতুন পাসপোর্ট পেতে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হয় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের। আগামী বছর এই খরচ আরও বাড়ছে।
গত জুলাই মাস পর্যন্ত সবচেয়ে 'দামি' পাসপোর্টের মালিক ছিলেন মেক্সিকোর জনগণ। নতুন পাসপোর্ট নিতে মেক্সিকানদের ফি দিতে হতো ৩৪৬ ডলার।
তবে জুলাই মাসে বদলে যায় এই চিত্র। অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টের ফিস বাড়িয়ে করা হয় ৩৯৮ ডলার। তবে এখানেই শেষ নয়। অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টের ফিস আরও এক দফা বাড়ছে।
আগামী ১ জানুয়ারী থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ বছর মেয়াদী নতুন পাসপোর্টের ফিস বেড়ে ৪১২ ডলার হতে যাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই মাসে নতুন পাসপোর্টের যে মূল্য ছিল তার সঙ্গে ১৫ শতাংশ কর যোগ করে নতুন করে পাসপোর্টের ফিস নির্ধারণ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টে পরপর তিন দফায় মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতাদের কাছ থেকে ক্ষমতাসীন লেবার সরকার বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বাড়তি আয়ের পথে রয়েছে।
বেশিরভাগ অস্ট্রেলীয় নাগরিকের ছুটি কাটানোর পছন্দের গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া ও ফিজি। অস্ট্রেলিয়া থেকে এই দুই দেশে যাওয়ার উড়োজাহাজ ভাড়া নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর ফি'র প্রায় সমান।
অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন, 'এটি আশ্চর্যজনক নয় যে (প্রধানমন্ত্রী) আলবানিজের সরকার অস্ট্রেলীয়দের ওপর আরও এক ধরনের কর আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বছরটি শুরু করতে যাচ্ছে।'
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের মুখপাত্র বলেন, 'পাসপোর্টের ফিস নির্ধারণ করা হয় গ্রাহক মূল্য সূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট একটি উচ্চ মানের ভ্রমণ দলিল হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত।'
অস্ট্রেলীয় পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টিরও বেশি দেশে ভিসা মুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এই দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাপান, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট উচ্চস্তরের প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে তৈরি, যা কঠোর জালিয়াতি বিরোধী ব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। উচ্চ গতিশীলতার স্কোরসহ এটি বিশ্বের সবচেয়ে পছন্দের পাসপোর্টগুলোর মধ্যে একটি।
দেড় কোটিরও বেশি অস্ট্রেলীয় নাগরিকের কাছে মেয়াদসহ পাসপোর্ট রয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশের বেশি।
আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments