উ. কোরিয়ার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা, জাপানের প্রতিরক্ষা জোরদার

উত্তর কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্যাটেলাইট, ক্ষেপণাস্ত্র,
জাপানের টোকিওতে প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড ক্যাপাবিলিটি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন দেশটির সেনারা। ৮ অক্টোবর, ২০১৭। রয়টার্স ফাইল ফটো

উত্তর কোরিয়া আগামী ৩১ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়েছে। এরপর জাপানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আজ সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। দেশটির নেতা কিম জং উন এটি উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত প্রস্তুতিরও অনুমোদন দিয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও অস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটি হবে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ উদ্যোগ।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ২০১৬ সালের মতো উত্তর কোরিয়া তাদের স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটটি দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বীপ অঞ্চলে নিক্ষেপ করবে বলে ধারণা করছে জাপান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি কর্মসূচির অংশ নতুন এই স্যাটেলাইটটি। এই কর্মসূচিতে ড্রোনও অন্তর্ভুক্ত আছে এবং এর লক্ষ্য যুদ্ধের সময়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের ক্ষমতা উন্নত করা।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমাদের ভূখণ্ডে অবতরণের করলে ব্যালিস্টিক ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।'

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে জাপান তাদের স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৩ (এসএম-৩) বা প্যাট্রিয়ট মিসাইল পিএসি-৩ ব্যবহার করবে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বিরোধী রেজুলেশনের গুরুতর লঙ্ঘন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় টুইট করেছে, আমরা উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকতে জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।

দক্ষিণ কোরিয়াও জাপানের সঙ্গে এক হয়ে উত্তর কোরিয়াকে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়া যদি এই কর্মসূচি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে তাদের মূল্য দিতে হবে এবং ভুগতে হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপদ্বীপে শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ দূত কিম গুন জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।

উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকবার উপগ্রহ উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে দুটি সফলভাবে কক্ষপথে বসেছে বলে ধারণা করা হয়। যার সর্বশেষটি ২০১৬ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

7h ago