শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে, নির্বাচন ১৪ নভেম্বর

নির্বাচনী প্রচারণায় অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। ফাইল ছবি: এএফপি
নির্বাচনী প্রচারণায় অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। ফাইল ছবি: এএফপি

পুর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম দ্যা আইল্যান্ড।

গতকাল মধ্যরাতে তিনি এ বিষয়ে একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনে সাক্ষর করেন।

এই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, রিটার্নিং অফিসাররা ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে শুরু করবেন। ১১ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।

১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচনের পর, নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসবে ২১ নভেম্বর।

নির্বাচনী প্রচারণার সম তিনি একাধিকবার বলেছেন, ক্ষমতায় এলে পার্লামেন্টে ভেঙে দেবেন। সবকিছু নতুন করে শুরু করবেন। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি আবারও জানান, ক্ষমতায় এলে দুই-তিন দিনের মধ্যেই এর উদ্যোগ নেবেন।

'যে পার্লামেন্টে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই, সেই পার্লামেন্ট রাখার অর্থ নেই', বলেন দিশানায়েকে।

এর আগে এএফপির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দিশানায়েকে বলেন, 'দেশের জনগণ যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তার অবসানে কোনো জাদুকরি সমাধান তার কাছে নেই। তবে এই সংকট থেকে উত্তোরণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেখতে চাইবেন তিনি।'

এদিকে প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার মিত্র হরিনি আমারাসুরিয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তিনিই হলেন তৃতীয় কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিনি আমারাসুরিয়ার সঙ্গে দিশানায়েকে। ছবি: এএফপি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিনি আমারাসুরিয়ার সঙ্গে দিশানায়েকে। ছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব ও আইনপ্রণেতাদের মধ্য থেকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন প্রেসিডেন্টের সহকারী হিসেবে এবং ক্ষমতাসীন দলেরও নেতৃত্ব দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

10h ago