ট্রাম্প-কমলার প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট: মানতে হবে যেসব নিয়ম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে পরস্পরের মুখোমুখি হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। এটাই সম্ভবত নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাদের প্রথম ও শেষ মুখোমুখি বিতর্ক। এই বিতর্কটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আয়োজক এবিসি নিউজ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কবে, কখন, কোথায় এবং কিভাবে এই বিতর্কের আয়োজন হবে, সেটা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে এই বিতর্কের দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে আয়োজক এবিসি নেটওয়ার্ক মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বরের এই বিতর্কের নিয়মগুলো জানিয়েছে।

রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, উভয়ের প্রচারণা দলের অনুমোদন নিয়েই এসব নিয়ম তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে খারাপ ফলের জন্যই মূলত বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেকে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। সিএনএনের সেই বিতর্কে বাইডেনকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন ট্রাম্প। পরবর্তীতে 'ভ্রমণে ক্লান্ত ছিলাম', 'অসুস্থ ছিলাম', 'মনোযোগ দিতে পারছিলাম না'—এরকম বেশ কয়েকটি অজুহাত দিয়েও পার পাননি বাইডেন।

বাইডেন-ট্রাম্প ডিবেট। ফাইল ছবি: এএফপি
বাইডেন-ট্রাম্প ডিবেট। ফাইল ছবি: এএফপি

তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে নতুন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা।

বিতর্কের নিয়মগুলো সংক্ষেপে নিচে জানানো হলো। 

কবে, কোথায়?

ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়) এই বিতর্ক শুরু হবে। এটি টেলিভিশনে লাইভ প্রচার করা হবে। সেখানে সরাসরি কোনো দর্শক উপস্থিত থাকবেন না।

এবিসির কর্মকর্তা ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস এই বিতর্কে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করবেন। দুইটি বিজ্ঞাপন বিরতিসহ মোট ৯০ মিনিট চলবে এই আয়োজন। 

মাইক্রোফোন মিউট থাকা বা না থাকা

এ ধরনের বিতর্কে এক পক্ষ কথা বলার সময় অপর পক্ষের মাইক্রোফোন 'মিউট' করে রাখা উচিত কি না, সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। জো বাইডেন ও ট্রাম্পের বিতর্কের সময় মাইক্রোফোন মিউট রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন উভয় প্রার্থী। উভয় পক্ষ থেকেই এ বিষয়টিকে 'কাপুরুষোচিত' কাজ বলে অভিহিত করা হয়।

তবে প্রথা ভাঙছে না এবিসি। এক প্রার্থী কথা বলার সময় অন্য প্রার্থীর মাইক্রোফোন মিউটই থাকছে।

বিতর্ক চলাকালীন সময় শুধু সঞ্চালকরাই প্রশ্ন করতে পারবেন। দুই প্রার্থীকে আগে থেকে কোনো বিষয়বস্তু বা প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে না।

কে, কখন কথা বলার সুযোগ পাবেন?

পিটসবার্গে নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা। ছবি: রয়টার্স
পিটসবার্গে নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা। ছবি: রয়টার্স

প্রার্থীরা কোনো স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। প্রশ্নের মাধ্যমেই শুরু হবে বিতর্ক।

প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য দুই মিনিট করে সময় পাবেন কমলা-ট্রাম্প। জবাবের পর পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য অপর প্রার্থী পাবেন আরও দুই মিনিট।

নিয়ম অনুযায়ী, 'সম্পূরক প্রশ্ন, জবাবকে আরও স্পষ্ট করা বা প্রতিক্রিয়া' জানানোর জন্য বাড়তি এক মিনিট সময় থাকবে।

বিতর্ক শেষে দুই প্রার্থীকে সমাপনি বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুই মিনিট সময় দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ভার্চুয়াল টসে নির্ধারণ হয়েছে, কমলার পর সমাপনি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প।

হাতে কোনো চিরকুট বা কাগজ রাখা যাবে না

বিতর্কের পুরো সময়টা মঞ্চের পোডিয়ামের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকবেন দুই প্রার্থী। এ সময় তারা কোনো কাগজে লেখা বক্তব্য, চিরকুট বা অন্য কোনো সহায়ক উপকরণ সঙ্গে রাখতে পারবেন না।

তবে ডিবেট চলাকালীন সময় নোট রাখার জন্য কাগজের প্যাড, কলম ও তেষ্টা মেটাতে এক বোতল পানি পাবেন দুই প্রার্থী।

ডিবেটের পুরো সময়টাজুড়ে প্রচারণা দলের কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিস। এমন কী, বিজ্ঞাপন বিরতির সময়ও নয়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

9h ago