ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল থেকে ৬ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

কক্ষ থেকে ৬ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধারের পর ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলের ফটকে টহল দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
কক্ষ থেকে ৬ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধারের পর ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলের ফটকে টহল দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত ইরায়ান হোটেল থেকে ছয় পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, তারা বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন।

মৃত পর্যটকরা সবাই জন্মসূত্রে ভিয়েতনামের। তাদের মধ্যে চারজন ভিয়েতনামের নাগরিক ও অপর দুইজন ভিয়েতনামের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।

পাঁচজনের মরদেহ ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে। একজনের মরদেহ ঘরের বাইরে ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ধস্তাধস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যেকেরই দেহে বিষ পাওয়া গেছে।

বিকেলে ঘটনাস্থলে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। কিন্তু তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মরদেহ উদ্ধারের পর হোটেল পরিদর্শন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেঠা থাভিসিন। ছবি: রয়টার্স
মরদেহ উদ্ধারের পর হোটেল পরিদর্শন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেঠা থাভিসিন। ছবি: রয়টার্স

পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের কর্মীদের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং মরদেহগুলো উদ্ধার করেন।

মৃত পর্যটকদের গতকাল মঙ্গলবার চেকআউট করে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী তাদের ব্যাগও গোছানো অবস্থায় পাওয়া গেছে।

এমন কী, তাদের কক্ষে খাবারও পাওয়া গেছে। রুম সার্ভিসে ফোন করে ওই খাবার আনানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু পর্যটকরা সেই খাবার খাননি।

পুলিশের ধারণা এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। বিষ দিয়ে ছয় জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই দলের সঙ্গে আরও এক সদস্য যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত বেশ বিখ্যাত ও বিলাসবহুল একটি হোটেল। ছুটি কাটাতে বা কাজের জন্য এসে বহু পর্যটক এই হোটেলে ওঠেন। এই ঘটনার প্রভাব যাতে পর্যটন খাতের ওপর না পড়ে, সেদিকে কড়া নজর রেখেছে থাই সরকার। প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

দুই কোটি ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক গত বছর থাইল্যান্ড বেড়াতে গেছেন।

সব মিলিয়ে তারা কয়েক ট্রিলিয়ন বাথ (থাই মুদ্রা) খরচ করেছেন। পর্যটন থাইল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত। এই ঘটনা পর্যটন ব্যবসায় যাতে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, তা নিয়ে সব সময়ই সতর্ক থাকে থাই সরকার।

রয়টার্স, এপি, এএফপি

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

1h ago