ইয়েমেনে হামলা হুতিদের প্রতি ‘স্পষ্ট বার্তা’: যুক্তরাষ্ট্র, উচিত জবাব দেবো: হুতি মুখপাত্র

ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার একদিন পর ইয়েমেনের ১৩টি জায়গায় ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে যৌথ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

গতকাল শনিবার রাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। হামলায় হুতিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র মজুত স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সরঞ্জাম, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং রাডার ব্যবস্থা-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

হামলার কারণ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'এটি হুতিদের উদ্দেশে একটি স্পষ্ট বার্তা যে, তারা যদি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজ এবং নৌযানে তাদের অবৈধ হামলা বন্ধ না করে, তবে তাদের আরও পরিণতি সইতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে জীবন এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করতে দ্বিধা করব না।'

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, 'লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক এবং সামরিক জাহাজে হুতিদের হামলা অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য।'

'নিরপরাধ জীবন রক্ষার পাশাপাশি নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা আমাদের কর্তব্য', যোগ করেন তিনি।

এই হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরোর মুখপাত্র মোহাম্মদ আল বুখাইতি বলেছেন, 'ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ বোমাবর্ষণ আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করবে না। আমরা নিশ্চিত করছি যে, গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক অভিযান চলবে। এজন্য যত মূল্য দিতে হয় দেবো।'  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি আরও বলেন, 'আমাদের যুদ্ধ নৈতিক। আমরা যদি গাজায় নিপীড়িতদের সমর্থনে হস্তক্ষেপ না করতাম, তাহলে মানুষের মধ্যে মানবতা থাকত না। ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের এই হামলা জবাবহীন থাকবে না। আমরা উত্তেজনার জবাব উত্তেজনার মাধ্যমেই দেবো।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Tariffs

Economic lessons from the tariff war

Our understanding of tariffs might not be complete.

10h ago