জিনপিংয়ের জি২০ সম্মেলনে দিল্লি না যাওয়ার ঘোষণায় ‘হতাশ’ বাইডেন

শি জিনপিং ও জো বাইডেন। রয়টার্স ফাইল ফটো

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য শিল্পোন্নত ২০ দেশের জোটের (জি২০) সম্মেলনে যাচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

চীনের এমন ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিছুটা হতাশ হয়েছেন বলে আজ সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোটের এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে জিনপিংয়ের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এমন সময় এল যখন ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলছে এবং ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।

সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র মাও নিং বলেন, আগামী শনি ও রোববার ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংলি যোগ দিচ্ছেন। তবে এ সময় প্রেসিডেন্টের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

তবে গত সপ্তাহে দুই ভারতীয় কূটনীতিকের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছিল যে চীনের প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে অংশ নাও নিতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'জি২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম এবং চীন সবসময় এর কাজকর্মকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।'

তবে এবারই প্রথম হয়ত চীনের শীর্ষ নেতা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না।

এমনকি করোনা মহামারি চলাকালে ২০২০ ও ২০২১ সালে জিনপিং ভার্চুয়ালি এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জিনপিং। এবার তিনি জি২০ সম্মেলনে যোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের শীতল সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হতে পারত।

এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও হতাশা প্রকাশ করেছেন। রোববার তিনি বলেন, 'আমি হতাশ যে তার (জিনপিং) সঙ্গে দেখা হচ্ছে না।'

তবে আগামী শরতে জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা হতে পারে বলে বাইডেন জানিয়েছেন।

এদিকে জি২০ সম্মেলনে যাচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। ইউক্রেনে 'যুদ্ধাপরাধ' সংঘটনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তার পরিবর্তে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago