পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও ব্রিকস সম্মেলন আয়োজন করবে দ. আফ্রিকা

 পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও ব্রিকস সম্মেলন আয়োজন করবে দ. আফ্রিকা
ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য নয় এমন একটি দেশে ব্রিকস সম্মেলনের ভেন্যু স্থানান্তরিত হতে পারে; এমন গুঞ্জনের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাসে তারা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) স্বাক্ষরকারী। তাই পুতিন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিলে ইউক্রেন থেকে শিশুদের নির্বাসন ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

তবে পুতিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

১৭ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা  রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। ঐতিহাসিকভাবে আফ্রিকার শাসক দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) রাশিয়ার একটি শক্তিশালী মিত্র। কয়েক দশক আগে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় থেকে মিত্রতা শুরু।

এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ভিনসেন্ট ম্যাগওয়েনিয়া এক টেক্সট বার্তায় সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, এর অর্থ হলো ব্রিকস রাষ্ট্রপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনটি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে।

তবে সম্মেলনে পুতিন যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে ভিনসেন্ট ম্যাগওয়েনিয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা গত মাসের শেষে বলেছিলেন, ব্রিকস দেশগুলো শীর্ষ সম্মেলনটি চীনে স্থানান্তর করার বিষয়ে বিবেচনা করছে। যা আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়। তারা এখনো শেষ মুহূর্তে ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

মঙ্গলবার, দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী নালেদি পান্দর বলেছেন, পুতিন এখনো আমন্ত্রণের জবাব দেননি; যা গত ১৮ মার্চ আইসিসি তাকে অভিযোগ করার আগে পাঠানো হয়েছিল।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান পান্ডর।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh foreign policy

Assad’s ouster and the ever-changing world for Bangladesh

Do we have the expertise to tackle the crises and exploit the opportunities in the evolving geopolitical scenario?

11h ago