ইউক্রেন যুদ্ধের ১ বছর

সংঘাত বন্ধে চীনের ১২ দফা প্রস্তাব

ইউক্রেন যুদ্ধের ১ বছর
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আবারও নিজের অবস্থান জানিয়েছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন। প্রতিবেশী ইউক্রেনে পরাশক্তি রাশিয়ার 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' পর মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের পক্ষ থেকে বেশ চাপে আছে মহাপ্রাচীরের দেশটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বার্তায় ১২ দফা তুলে ধরে নিজের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেছে দেশটি।

আজ শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, চীন এই চলমান সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান চেয়েছে। বেইজিং চায়—যুদ্ধ বন্ধে আবারও শান্তি আলোচনা শুরু হোক এবং পশ্চিমের এক তরফা নিষেধাজ্ঞার অবসান হোক।

পাশাপাশি, পরমাণু বোমা হামলার বিরোধিতাও করেছে চীন।

'বিবদমান সব পক্ষকেই যৌক্তিক আচরণ করতে হবে ও নিজেদের সংযত রাখবে' আশা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবাইকে 'আগুন নিয়ে না খেলা ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।'

'সংঘাত যেন ছড়িয়ে না পড়ে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়' সে বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, চীন ১২ দফার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নিজেকে 'নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী' হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'ভারসাম্যপূর্ণ' সম্পর্ক বজায় রাখারও চেষ্টা করছে।

এতে আরও বলা হয়, চীন যেহেতু রাশিয়ার 'বিশেষ সামরিক অভিযান'কে 'আগ্রাসন' হিসেবে আখ্যা দেয়নি এবং মস্কোকে কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তাই এর 'নিরপেক্ষতা'র দাবি পশ্চিমে গুরুত্ব পাচ্ছে না।

উপরন্তু, পশ্চিমের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে বেইজিং হয়তো মস্কোকে 'প্রাণঘাতী' অস্ত্র দিয়ে সহায়তার কথা ভাবছে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরের মাথায় চীন নতুন করে যে বার্তা দিয়েছে তা আগেও দিয়েছিল বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

নতুন করে দেওয়া বার্তায় চীন 'গঠনমূলক ভূমিকা' পালনের কথা বললেও সেই ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago