তুরস্ক-সিরিয়া

ভূমিকম্পে মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়াল

তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর মধ্যে তুরস্কে ১৭ হাজার এবং সিরিয়ায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ভূমিকম্পে তুরস্কে ৬০ হাজারের বেশি এবং সিরিয়ায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়াও ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে ঠাণ্ডা, ক্ষুধা ও হতাশার মধ্যে সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ।

তুরস্কের হাতায় শহরে একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকার ৭৯ ঘণ্টা পর দুই বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ধ্বংসস্তূপে আরও অনেককে জীবিত পাওয়া যেতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছে।

এর আগে ১৯৯৯ সালে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ১৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং  প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ভবন ধসে পড়েছে।

তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এবারের ভুমিকম্প আগামী মে মাসের নির্বাচনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার দুই দশকের ক্ষমতার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে, গত ১২ বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিদ্ধস্ত সিরিয়ায় এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে সরকার ও বিদ্রোহী গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা তুরস্ক থেকে প্রথমবারের মতো উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ইদলিব প্রদেশে এসেছেন চার সন্তানের মা মুনিরা মোহাম্মদ। তিনি বলেন, 'এখানে সব শিশু। আমাদের শীত নিবারণ দরকার, খাদ্য সরবরাহ দরকার। গত রাতে ঠাণ্ডায় আমরা ঘুমাতে পারিনি।'

এ ভূমিকম্পে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সুপারমার্কেটের কার পার্কিং, মসজিদ, রাস্তার ধারে বা ধ্বংসস্তূপের আশেপাশে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা খাবার, পানি ও গরম কাপড়ের অভাবে আছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Former CEC ATM Shamsul Huda passes away at 83

As CEC, Huda oversaw the ninth parliamentary elections in 2008

24m ago