গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ: একদিনে পটুয়াখালীতে ১১৬, গাজীপুরে ২৩ রোগী হাসপাতালে
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। ডায়রিয়া নিয়ে পটুয়াখালীতে একদিনে ১১৬ ও গাজীপুরে ২৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত দিনে জেলায় ৭৫৮ রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৭, বাউফলে ২০, গলাচিপায় ১৯, দশমিনায় ১২, কলাপাড়ায় ১৬, মির্জাগঞ্জে ১৪ ও দুমকিতে ৮ জন ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলায় গতকাল রোববার এক ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক তানজিলা হাসিব তৃষা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে এক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।
এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির জায়গা নেই। ধারণক্ষমতার বাইরে বাড়তি রোগীদের সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ দিশেহারা।
পর্যাপ্ত স্যালাইন, ওষুধ মজুদ থাকলেও শয্যা স্বল্পতার কারণে একই বেডে ২ থেকে তিন জন শিশু রাখা হচ্ছে। এছাড়া মেঝে ও বারান্দায়ও সেবা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগের বছরগুলোতেও গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। তাই ডায়রিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।'
এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ডায়রিয়া নিয়ে গাজীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন, শ্রীপুরে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনজুর ই এলাহী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত এক সপ্তাহে ভর্তি হওয়া ডায়রিয়া রোগীদের বেশীরভাগই মধ্যবয়সী ও বয়স্ক। পানি শূন্যতাসহ তাপদাহের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন।'
তিনি বলেন, 'হঠাৎ করে আজ সকাল থেকে ৮ জন রোগী ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন।'
কাপাসিয়ার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, 'কাপাসিয়ায় ৫০ বেডের হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি আছেন।'
জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গাজীপুরের একাধিক উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধের ব্যবস্থা আছে।'
Comments