মমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরবেন কাল

কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

আজ বুধবার বিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. প্রতীক বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। সেই কারণে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করছি। আগামীকাল থেকে সব ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজে ফিরবেন।'

গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংর্ঘষ হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য ও আট ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হন।

সংঘর্ষের পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহমুদুল হাসান তার স্ত্রীকে হাসপাতালের পুরাতন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকেন। ওই চিকিৎসক তখন অন্য রোগী দেখছিলেন। তিনি জানান, পরে আসবেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদুল হাসান চিকিৎসকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। সে সময় হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যরাও পুলিশ সদস্যের পক্ষ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালের ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন এবং মাহমুদুল হাসানকে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও ফাঁড়িতে যাওয়ার পরে দু'পক্ষের কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, জানান জাকিউল ইসলাম।

রাতেই জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য আরিফকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।

ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হানুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Are battery-run rickshaws Dhaka’s newest traffic menace? Hear what city dwellers think!

Dhaka's battery-run rickshaws spark debate over efficiency versus safety. Critics cite accidents, recklessness, and safety concerns, while supporters highlight cost-effectiveness. A High Court ban fuels tensions, affecting livelihoods and intensifying calls for regulation over elimination.

2h ago