প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্ক্যানো ইউনিট চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালের স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

দেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্পেশাল নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট (স্ক্যানো) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, 'দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২টি শিশু মারা যায়। এই মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ইউনিট চালু করা হবে। এতে নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।'

আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালের স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে শিশুমৃত্যুর হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, 'এই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।'

স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনের সময় একইসঙ্গে সবাইকে করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কোভিডে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। আক্রান্তের হার নেমেছে ৪ ভাগের নিচে। তবে এখনো অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ নেননি ৯০ লাখ মানুষ। এছাড়া মাত্র ৪ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।'

এদিকে নিবন্ধন ছাড়া শিশুদের টিকা দেওয়া যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, '৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি করপোরেশনগুলোতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় সারাদেশে জনবলের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করে জনবল নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।'

স্ক্যানো ইউনিটের উদ্বোধনের পর এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও অংশ নেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সেভ দ্য সিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

Comments

The Daily Star  | English

Domestic tourism heats up this winter

The local tourism industry was suffering from apprehension over the loss of business amid a long recession stemming from mass unrest, which began in July

50m ago