ডিমের বাজার অস্থির করার অভিযোগে তেজগাঁওয়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দরে ডিম বিক্রি, ক্যাশ মেমোতে মূল্য উল্লেখ না করা ও এসএমএসের মাধ্যমে সারা দেশে ডিম বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এর মধ্যে মেসার্স আমানত এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা এবং বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তেজগাঁওয়ের পাইকারি ডিমের আড়তে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল এই অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, 'পাইকারি বাজারে গিয়ে আমরা প্রমাণ পেলাম ক্যাশ মেমোতে আগে থেকে তারা দর লেখেন না। কী দরে (ডিম) বিক্রি করছেন, ক্যাশ মেমোতে উল্লেখ থাকে না। সে রকম ক্যাশ মেমো আমাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। এছাড়া মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রির প্রমাণও পাওয়া গেছে। তারা শুধু সংখ্যা লেখেন যে, এত হাজার পিস ডিম বিক্রি করা হলো। কী রেটে বিক্রি করলেন, কত টাকায় বিক্রি করা হলো সে তথ্য এখান থেকে দেওয়া হয় না।'
আব্দুল জব্বার বলেন, 'এখান থেকে পাইকারি মূল্যে ডিম বিক্রি হচ্ছে। যখন ভোক্তা পর্যায়ে যাচ্ছে তখন প্রতি পিস ডিমের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। ১১ টাকায় যে ডিম এখানে বিক্রি হচ্ছে, সেই ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এখান থেকে এসএমএসের মাধ্যমে সারা দেশে ডিম কী রেটে বিক্রি হবে সেটা নির্ধারণ করে দেওয়া হতো।'
মেসার্স আমানত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গণমাধ্যমকে বলেন, নির্দিষ্ট নীতিমালা হলে আমরা নীতিমালা অনুযায়ী চলবো। নীতিমালার বাইরে গেলে জেল-ফাঁসি দেন, জরিমানা করেন আপত্তি নেই। কোনো নীতিমালা ছাড়া হঠাৎ এসে এটা অন্যায়, ওটা অন্যায় দেখিয়ে জরিমানা করে যাবেন এটা অন্যায়। এটার বিচার আল্লাহ করবে।
Comments