ভারতে কোভ্যাক্সিন নেওয়া ৩০ শতাংশের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: গবেষণা
ভারতে তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকা কোভ্যাক্সিন গ্রহণকারীদের একটি অংশের মধ্যে বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার তথ্য দিয়েছে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।
উত্তরপ্রদেশের বেনারসে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা কোভ্যাক্সিন টিকা গ্রহণকারী ৯২৬ জনের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে তাদের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দেখা পেয়েছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে পরের বছর আগস্ট পর্যন্ত এই গবেষণা চলে।
তবে এই টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এই গবেষণাকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা অস্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, কোভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা চালানো হয়েছে। এসব গবেষণা প্রতিবেদন পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় টিকাটিকে নিরাপদ হিসেবে পাওয়া গেছে।
বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছেন, কোভ্যাক্সিন টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে শ্বাসনালীতে সংক্রমণ, চর্মরোগ, স্নায়ুরোগ, স্ট্রোক, হাইপোথাইরয়েডিজমের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টিকাগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে ঋতুস্রাবে জটিলতাও দেখা গেছে।
এর আগে যুক্ররাজ্যের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে দেওয়া বক্তব্যে তাদের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার কথা স্বীকার করেছিল। ভারত ও বাংলাদেশে এই টিকা কোভিশিল্ড নামে পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যের আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, তাদের টিকাগ্রহণকারীদের অল্প একটি অংশের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তে অণুচক্রিকা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা উদ্বেগের
কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা সামনে আসার পর কোভ্যাক্সিন নিয়ে এই গবেষণা অনেক মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ভারতের গঙ্গা রাম হাসপাতালের কার্ডিওলোজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ডা. অশ্বিনী মেহতা বলেন, গবেষণাটি খুব অল্প মানুষের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে। এতে উদ্বেগের কিছু নেই। তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার হার খুবই কম। টিকার প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য আরও অনেক মানুষের মধ্যে এই গবেষণা চালানো প্রয়োজন।
Comments