ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব ঢাকায় খুব বেশি পড়ার সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতোমধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব ঢাকায় খুব বেশি পড়ার সম্ভাবনা নেই।
আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টায় টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেওয়াজ কবীর।
তিনি বলেন, 'ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অনেক। সুতরাং ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব ঢাকায় খুব বেশি পড়ার সম্ভাবনা নেই। সেজন্য আমরা ঢাকার নদীতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ আজ বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ যখন কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে, তখন ঢাকাতেও বৃষ্টিপাত হবে। সেই বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হালকা দমকা হাওয়াও থাকবে।'
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, কক্সবাজারের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Comments