মোখার শক্তি বাড়ছে, এগোচ্ছে ৮ কিলোমিটার বেগে

স্যাটেলাইট ইমেজ

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ধারণা করা হচ্ছে, এটি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র ও আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

গতকাল গভীর নিম্নচাপ ঘণ্টায় ১৫-১৬ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই ধরনের ঝড়ের গতি যখন কমে আসে তখন সেটি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, একটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের পাশে বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার, তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটার ও অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ হয় ঘণ্টায় ১১৯ এর উপরে। এর পরের পর্যায় সুপার সাইক্লোন।

আজিজুর রহমান বলেন, 'আমরা ধারণা করছি, মোখা অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হবে। আজ সকাল ৯টায় মোখার গতি কমেছে। এটি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে। এই গতি অপরিবর্তিত থাকলে রোববার দুপুরের মধ্যে মোখা উপকূল অতিক্রম করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে ঝড়ের কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের যে গতিবেগ তা ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।'

উপকূল অতিক্রম করার সময় ঝড়টি কিছুটা দুর্বল হবে বলে মনে করছে অধিদপ্তর।

'মোখা উপকূল অতিক্রম করার সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে এবং কেন্দ্রের বাইরে দমকা আকারে বাতাসের গতিবেগ ১৪৫ কিলোমিটার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্র কক্সবাজারের টেকনাফের দক্ষিণ পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে বলে আমরা মনে করছি। যদি গতিপথ পরিবর্তন না হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের অন্তত অর্ধেক বডি বাংলাদেশের উপকূলের উপরে থাকবে। ফলে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ওপর প্রভাব পড়বে,' বলেন আজিজুর রহমান।

মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা আছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, 'স্থলভাগে আঘাত হানার ৪৮ ঘণ্টা আগে আমরা নিশ্চিত করতে পারব কতটা উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

'We know how to fight through adversity': Women footballers eye world stage

Captain Afeida Khandakar, her voice steady with emotion, said: “This is a moment we will never forget."

2h ago